৭১ সালের রক্তের রাখী বন্ধনে আমাদের এই সম্পর্ক আবদ্ধ
বাংলাদেশ : বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর এই পলিসি শেখ হাসিনার পলিসি। এই পলিসি আমরা ফলো করি। ভারত আমাদের ৭১ সালের পরীক্ষিত বন্ধু।
৭১ সালের রক্তের রাখী বন্ধনে আমাদের এই সম্পর্ক আবদ্ধ। এ সময় মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যদের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন কাদের। একইসঙ্গে ছিটমহল বিনিময়, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা বিজয়সহ বিভিন্ন কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুঃসময়ের বন্ধুদের আমরা ভুলে যেতে পারি না।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য ও গবেষণা কেন্দ্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ আলোচনা করে সমাধান করা যায়। আর এসব সমাধান কেন হয়েছে, ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি। এই চুক্তিকে তারা (বিএনপি) বলছে গোলামির চুক্তি। তো আমরা কী পেলাম? খালি হাতে ফিরেছি? খালি হাতে আগে ফিরিনি, এবারও ফিরিনি।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব আছে উন্নয়নের। ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু। চীন উন্নয়নের বন্ধু। আমাদের চট্টগ্রামের দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলি টানেল। এটা কে করে দিয়েছে? চীনারা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেনের যে রাস্তা দিয়ে আসেন এ উন্নয়ন ও রাস্তার নির্মাণ করেছে সিনো হাইড্রো। গতকাল (শুক্রবার) পদ্মা সেতুর যে সমাপনী অনুষ্ঠান হলো, এই পদ্মা সেতুর মেইন ব্রিজ ও রিভার চেঞ্জিং দুটি কোম্পানিই চীনের। তারা আমাদের পদ্মাসেতু করে দিয়েছে।
মেট্রোরেলের জন্য জাপান সাহায্য করেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমার উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাবো তা কেন নেবো না? আমার তো সাহায্য দরকার। যেখানে সাহায্য দরকার সেখানে আমি সাহায্য কেন নেবো না? এতে কারও কারও গা জ্বলে, কেউ কেউ অন্তর জ্বালায় জ্বলছে। কেন পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল রেল হয়ে গেল। এটা অনেকের অন্তর জ্বালা। অন্তর জ্বালায় যারা মরে তাদের এসব প্রশ্নের জবাব দিতে চাই না।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যাচ্ছে, বিএনপির এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা যাই না। বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন নিজেদের এত টাকার দরকার কি? এত টাকা নিজেরা খরচ করলে বিদেশি টাকা পাওয়া যাবে না।
ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্যারিস কনসোর্টিয়াম বারবার হাজির হতো বিএনপির অর্থমন্ত্রী। তাদের মুখে বড় বড় কথা শোভা পায় না। তিনি বলেন, নতজানু করা হয়? মেরুদণ্ডহীনরা নতজানু হয়। বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা কোনোদিনও নতজানু হবেন না।