চরম অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের মধ্যে জেলা শাসকের কাছে প্রশ্ন তুললেন বর্ষীয়ান নাগরিক
এই খবর সংক্রান্ত ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
কোভাক্সিন এর প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২২ মে থেকে ৫ জুন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন সেন্টার সহ আরো অন্যান্য ভ্যাকসিন সেন্টারে যোগাযোগ করেও পেলেন না দ্বিতীয় ডোজ। কারণ হিসেবে বলা হয় কোভাক্সিন ভ্যাকসিন নেই।
ঠিক এমনটাই জানালেন শিলচর শহরের বর্ষীয়ান নাগরিক তথা কাছাড় নগাঁও কাগজ কলের যৌথ একশন কমিটি সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী।
বিষয়টি উল্লেখ করে এক টুইটে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিন না পাওয়ার কারণে যদি অবাঞ্ছিত সমস্যায় পড়তে হয় এ জন্য কে দায়ী হবে?
কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লী, সাংসদ রাজদ্বীপ রায় সহ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নজরেও আনেন বিষয়টি।
বিষয়ের বর্ণনা করে পাঠানো ই-মেইল এ তিনি জানতে চান- যেহেতু কতজন মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং কবে কাকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে সেটা রেকর্ড বুকে রয়েছে, তাহলে প্রশাসন কেন সেইসব ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজকে অগ্রাধিকার দেয় নি?
এছাড়াও তিনি জানতে চান নির্দিষ্ট সময়ে দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার ফলে প্রথম ডোজটা কি কার্যকরী থাকবে? দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর সেটা নিলে কি সেটা কার্যকরী হবে?
কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবেনা তো?
সবচেয়ে বড় কথা এই বিভ্রাটের শিকার কেউ যদি মারা যান তাহলে সে দায় কে নেবে?
স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসা এইসব প্রশ্নের উত্তর চেয়ে তিনি বলেন যে প্রশাসনের উচিত জনস্বার্থে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর
পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জারি করা। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার ও আতঙ্কিত জনগণ’রা সেটা জানতে পারেন যে এই অবস্থায় তাদের কি করনীয়।
তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে এর কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।