নির্বাচনের ১৯ দিন পর মহারাষ্ট্রে জারি হল ৩৫৬ ধারা। মঙ্গলবার সরকার গড়া নিয়ে কোনও রাজনৈতিক সমাধান না আসায় ৩৫৬ ধারা জারি করার সুপারিশ করেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি।
রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সুপারিশে সম্মতি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। এর জেরে বিধানসভা নির্বাচনের ১৯ দিন পর মহারাষ্ট্রে জারি হল ৩৫৬ ধারা। মঙ্গলবার সরকার গড়া নিয়ে কোনও রাজনৈতিক সমাধান না আসায় ৩৫৬ ধারা জারি করার সুপারিশ করেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। রাজ্যপালের এই সুপারিশকে অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা। এরপরেই রাজ্যপালের সুপারিশে সই করে সম্মতি জানান রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দ। অন্যদিকে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হন শিবসেনা।
কোনও দলই সরকার গঠন করতে না পারায় সাংবিধানিক ভাবে প্রথমে রাজ্যপাল কেন্দ্রকে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন। এর পরেই ব্রাজিল সফর বিলম্বিত করে জরুরি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সায় দিয়ে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনকে সুপারিশ করে মন্ত্রিসভা। সেই বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সই করার পরেই সাংবিধানিক ভাবে মহারাষ্ট্রে কার্যকরী হল ৩৫৬ ধারা, অর্থাত্ রাষ্ট্রপতি শাসন। বিজেপি সরকার গঠনে দাবি না জানানোয় দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে শিবসেনাকে সরকার গঠনের জন্য ডাকেন রাজ্যপাল। তাঁদের সময় ছিল সোমবার সন্ধে সাড়ে আটটা পর্যন্ত। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়কের সমর্থনপত্র দিতে না পারায় এনসিপি-কে ডাকেন রাজ্যপাল। এনসিপির সময় ছিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেল মহারাষ্ট্রে। ডেডলাইন ফুরনোর আগে জোটসঙ্গী কংগ্রেসের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে শরদ পাওয়ারের দল। এর আগে এনসিপি প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। ‘মহা’জট কাটাতে কংগ্রেসের তিন শীর্ষ নেতা আহমেদ পটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও কে সি বেণুগোপাল মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন। মুম্বইয়ে এদিন তাঁরা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে খবর।