মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করা নিয়ে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের মধ্যে এখনও চেষ্টা চলছে
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করা নিয়ে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের মধ্যে এখনও চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। তিন দলই চাইছে, আগামী কুড়ি দিনের মধ্যে সরকার গঠনের কাজ সম্পূর্ণ করতে। এবার তিন দলের হেভিওয়েট নেতারা এই নিয়ে আলোচনা করবেন। তারপর তাঁদের সহমত হওয়ার উপরে নির্ভর করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ নভেম্বর সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করবেন শরদ পাওয়ার। তারপরই হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এই আলোচনার মধ্যে কংগ্রেস অনেক ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করছে। আগামী পাঁচ বছরের সরকারে কি তাহলে এনসিপি ও শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী আড়াই বছর ধরে ক্ষমতায় থাকবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমরা তো চাই আগামী পঁচিশ বছর শিবসেনারই মুখ্যমন্ত্রী হোক, আপনারা পাঁচ বছরের কথা কেন বলছেন?” অন্য দিকে এনসিপির নবাব মালিক জানান, ‘‘এই প্রশ্ন বারবার শুনতে হচ্ছে শিবসেনা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হবে কিনা। এই মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ নিয়েই শিবসেনা ও বিজেপির বচসা হয়েছে। তাউ নিশ্চিত ভাবেই শিবসেনা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। শিবসেনাকে অপমান করা হয়েছে। তাদের স্বাভিমান বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব।” মহারাষ্ট্রের বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে খুব খুশি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। দলীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং শিবসেনার বিচ্ছিন্নতার কারণে কংগ্রেস ও এনসিপি আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটা সোনিয়া গান্ধীর কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। গত কুড়ি বছর ধরে কংগ্রেস ও এনসিপি বিচ্ছিন্ন। তাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও সময়ে সময়ে একে অপরকে সমর্থন জানিয়েছে তারা।