নতুন সংশোধনীতে কেবল মাত্র প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারি বাসভবনে থাকা পরিবারের সদস্যরাই এসপিজি সুরক্ষা পাবে।
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ এসপিজি সংশোধনী বিল ২০১৯। ২৭ নভেম্বর সংসদের নিম্নকক্ষে ধবনি ভোটে পাশ হয়েছিল এই বিল।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এসপিজি সংশোধনী বিল ২০১৯ পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর মতো নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। এদিন কংগ্রেসের দাবি ছিল যে গান্ধী পরিবারের কথা মাথায় রেখেই এই সংশোধনী বিল আনা হয়েছে। এমন দাবিকে নস্যৎ করে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র গান্ধী পরিবারের নয়, ১৩০ কোটি মানুষের কথা চিন্তা করে কেন্দ্রীয় সরকার। গান্ধী পরিবারের কথা মাথায় রেখে এই সংশোধনী করা হয়নি। তাদের সমস্ত দিক ক্ষতিয়ে দেখেই গান্ধী পরিবার থেকে এসপিজি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে পাঁচবার সংশোধন করা হল এসপিজি আইন। এর মধ্যে চারটি সংশোধন নির্দিষ্ট একটি পরিবারের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। কংগ্রেসের নিন্দায় মুখর হয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে আইন সবার জন্য সমান। পরিবার নয়, পরিবারবাদের বিরুদ্ধাচরণ করছে বিজেপি। এদিন কংগ্রেস সাংসদদের তীব্র হট্টগোলের মাঝে অমিত শাহ বলেন, সরকার কারও নিরাপত্তা কমিয়ে দেয়নি। বাস্তবে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকার সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সুরক্ষা প্রদান করেছে। এসপিজি কখনও স্ট্যাটাস সিম্বল হওয়া উচিত নয়। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক নেতা এই প্রত্যাশা থাকা উচিত নয় যে তাদের প্রধানমন্ত্রী সম সুরক্ষা দেওয়া হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে নতুন সংশোধনীতে কেবল মাত্র প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারি বাসভবনে থাকা পরিবারের সদস্যরাই এসপিজি সুরক্ষা পাবে।