কলকাতা এবং সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রোজই পারদ চড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আর্দ্রতা। বুধবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিও বিশেষ স্বস্তি দিতে পারল না
কলকাতায় গরম এ বার একটু অস্বাভাবিক। সকাল দশটার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে বেরোলেই, রোদের দাপটে জ্বালা করছে চোখ-নাক-মুখ। কলকাতা এবং সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রোজই পারদ চড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আর্দ্রতা। বুধবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিও বিশেষ স্বস্তি দিতে পারল না। বৃহস্পতিবার বেলার পর থেকে ফের রোদের তেজে নাজেহাল হয় শহরবাসী। কলকাতা ও সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গে শুকনো গরমের দাপট তো রয়েছেই, তার উপর দুপুরের দিকে লু-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। তবে, গত তিনদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার কলকাতায় গরম খানিকটা কমই ছিল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির পরিস্থিতি আরও খারাপ। ঝলসানো রোদের দাপটে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা এখন দায়। চড়া রোদের তাপ এড়াতে মুখে রুমাল বেঁধে ও মাথায়-গলায় বড় রুমাল জড়িয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। রাজ্যে বর্ষার আগমন কবে হবে ? কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আম-বাঙালিকে এখনই স্বস্তির বার্তা দিতে পারছেন না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর তাই আপাতত গরম সহ্য করতেই হবে শহর ও জেলার মানুষজনকে। তবে, শুক্রবারও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপমাত্রার পারদ যত ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ততই বাড়ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দিনের বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। পড়াশোনা করার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। দিনভর কাজ শেষে রাতে ঘুমানোর সময়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সবমিলিয়ে জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ সপ্তাহে নাজেহাল আম জনতা। তবে, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার পর থেকে শুরু হওয়া হালকা বৃষ্টি ও শীতল বাতাস কলকাতা-সহ শহরতলীকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছিল। বুধবার গভীর রাতে হালকা বৃষ্টিপাত হয় কলকাতা-সহ সংলগ্ন দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে।