আজ সন্ধ্যারতি এবং দেবী কামাখ্যাকে প্রদক্ষিণ করে মন্দিরের দরজা তিনদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর পর ২৬ তারিখ বেলা ২:৪:২২টায় মায়ের নিবৃত্তি না হওয়া পর্যন্ত অম্বুবাচি উপলক্ষে ২৩, ২৪ এবং ২৫ জুন মন্দিরের দরজা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে
মৃগশিরা নক্ষত্রের শেষ পাদ এবং আর্দ্রা নক্ষত্রের শুরুতে আজ (শনিবার) রাত ১–টা ৪০ মিনিট ১৮ সেকেন্ড মায়ের প্রবৃত্তি হবে। নিবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে কামাখ্যাধামে শুরু হয়ে যাবে দেবীর অম্বুবাচি পর্ব। চার দিন পর ২৬ তারিখ বেলা ২-টা ৪ মিনিট ২২ সেকেন্ডে মায়ের নিবৃত্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল পর্বের সমাপ্তি ঘটবে। মা কামাখ্যা দেবালয়ের বড়দলৈ মোহিতচন্দ্র শর্মার কাছে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যারতি এবং দেবী কামাখ্যাকে প্রদক্ষিণ করে মন্দিরের দরজা তিনদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর পর ২৬ তারিখ বেলা ২:৪:২২টায় মায়ের নিবৃত্তি না হওয়া পর্যন্ত অম্বুবাচি উপলক্ষে ২৩, ২৪ এবং ২৫ জুন মন্দিরের দরজা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ২৬ জুন মন্দিরের দরজা সকাল ছয়টায় খোলা হলেও বিকেল ৪:৩০টায় ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে রাতের জন্য।
এদিকে অম্বুবাচি মেলা উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশের অজস্র ভক্ত ও সাধু-সন্ন্যাসীর সমাগম হয়েছে কামাখ্যাধামে। এর প্রতি লক্ষ্য রেখে পুণ্যার্থী তথা পর্যটকদের নিরাপত্তা, যাবতীয় সুবিধা দিতে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। প্রতিবারের মতো নিরাপত্তার বিষয়র ওপর বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এবারের অম্বুবাচি মেলায় অসম-তো বটেই গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল-সহ পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, পঞ্জাব, বাংলাদেশ, নেপাল থেকে পুণ্যার্থীরা এসেছেন শক্তিপীঠ কামাখ্যাধামে। গতকাল থেকে ক্রমাগত বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা, জানিয়েছেন জেলাশাসক বিশ্বজিৎ পেগু।
পৌরাণিক মতবাদ অনুসারে, কামাখ্যা মন্দির পর্ষন্ত যাওষ়ার জন্য চারটি রাস্তা বানিয়েছিলেন নরকাসুর। এবার অম্বুবাচিতে প্রথমবার পশ্চিমদিকের অর্থাৎ পাণ্ডুর থেকে আগত রাস্তা দিয়ে পুণ্যার্থীরা যাতায়াত করতে পারবেন। এই রাস্তা অন্যান্য রাস্তার তুলনায় দূরত্ব কম, প্রায় এক কিলোমিটার। এর আগে বিশ্বকর্মামন্দিরের দিকে রাস্তা ব্যবহার করা হত। প্রথমবার পশ্চিম প্রান্তের রাস্তা ব্যবহার করা হবে। এই রাস্তা ব্যবহারের ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করেন জেলাশাসক।