কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এনআরসির বিল নিয়ে ফের সোচ্চার তৃণমূল নেতৃত্ব।
শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এনআরসি হতে দেবো না”, সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী তে এসে এরকমই মন্তব্য করলেন অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি গত লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যভাবে ভোট কমেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তা ফেরাতে সাংগঠনিক কর্মসূচি দিলেন দলীয় নেতৃত্বকে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এনআরসির বিল নিয়ে ফের সোচ্চার তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে
বলেন আমাদের শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা এনআরসি কোনভাবেই হতে দেবো
না। রাজ্যের যতদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবে ততদিন কোন
ভাবেই কেন্দ্র এনআরসি এরাজ্যে লাগু করতে পারবে না। আমরা সর্বতোভাবে এই কালা কানুন
রুখব। বহু সাধারণ মানুষ আছে আদিবাসী আছে যারা অন্যের
জায়গাতে বসবাস করে তাদের কোন নিজস্ব কাগজপত্র কিছু নেই তারা কি এদেশে থাকতে পারবে
না। কোনভাবেই সেটা সম্ভব নয়। এই দেশ সবার জন্যে। পৃথিবীর বহু দেশেই এই আইন থাকলেও
ভারতের মতো কালা কানুন কোথাও নেই। রাজ্য যতদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন ততদিন কোন চিন্তা নেই”।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে
কমে ছিল তাই মেরামতি করতে উদ্যোগী হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব
আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বীরভূমের এগারটি বিধানসভা এবং
বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও এদিন জেলার লোহাপুর এলাকার বর্ষীয়ান নেতা সেখ গিয়াস উদ্দিনকে পুনরায়
জেলা কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হলো। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বহুদিন রাজনৈতিক
কর্মসূচি থেকে দূরে ছিলেন। শরীর ঠিক হতেই থাকে ফিরিয়ে আনা হলো। অন্যদিকে স্বরূপ
গড়াইয়ের স্ত্রীকে বিজেপির দেওয়া চেক প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন,”
ওই পরিবার কোনদিনই বিজেপির ছিল না। বিজেপির লাশ নিয়ে রাজনীতি
করেছিল। তাই ওনার স্ত্রী চেক ফেরত দিয়েছে”।