শিলচর | আই ডি এস ও এবং এ আই ডি ওয়াই ও’র যৌথ উদ্যোগে শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন

2 - মিনিট |

শহীদ – ই- আজম ভগৎ সিং এর ১১৭ তম জন্মদিবসে সারা রাজ্যের সাথে শিলচরেও রাজ্যের ১১ সহস্ৰাধিক মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ সাব্যস্ত করা হয়

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর : শহীদ – ই- আজম ভগৎ সিং এর ১১৭ তম জন্মদিবসে সারা রাজ্যের সাথে শিলচরেও রাজ্যের ১১ সহস্ৰাধিক মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ সাব্যস্ত করা হয়। এ আই ডি এস ও এবং এ আই ডি ওয়াই ও’র যৌথ উদ্যোগে শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে এবং ধোয়ারবন্দের শহীদ বেদীর সামনে সংগঠনগুলির কর্মীরা সমবেত হয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

বিক্ষোভ চলাকালে ধোয়ারবন্দে বক্তব্য রাখেন এ আই ডি এস ও’র জেলা সভানেত্ৰী স্বাগতা ভট্টাচার্য, এ আই ডি ওয়াই ও’র জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পরিতোষ ভট্টাচার্য প্রমুখ। শিলচরে ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে বক্তব্য রাখেন এ আই ডি ওয়াই ও’র জেলা সভাপতি অঞ্জন কুমার চন্দ, জেলা সম্পাদক বিজিত কুমার সিংহ, এ আই ডি এস ও’র জেলা সম্পাদক গৌর চন্দ্র দাস, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ পল্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ।

বক্তারা বলেন সরকার ছাত্ৰ-ছাত্ৰীর প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকার অজুহাতে রাজ্যের ১১ হাজারের বেশি মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার আসল উদ্দেশ্য শিক্ষার ব্যবসায়ীকরণ ও ব্যাক্তিগতকরণ ঘটানো। তারা বলেন ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৯ হাজার বিদ্যালয় বন্ধ করেছে সরকার। এখন আরো ১১ হাজারের বেশি বিদ্যালয় বন্ধ হলে রাজ্যের মোট ২০ হাজারের বেশি বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে।

সরকার তাদের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি বিদ্যালয়ে ১ম শ্ৰেণী থেকে ৮ম শ্ৰেণী পর্যন্ত পাস-ফেল প্ৰথা তুলে দিয়ে ‘অটোমেটিক প্ৰমোশন’ ব্যবস্থা চালু করেছে। পাশাপাশি মাতৃভাষা মাধ্যমের বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলকভাবে প্ৰথম শ্ৰেণী থেকে ইংরাজী ভাষা শেখানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব না দিয়ে, প্ৰয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ না করে, শিক্ষকদের শিক্ষা বহিৰ্ভূত কাজে ব্যস্ত রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

এর পরিণতিতে অবধারিতভাবেই সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান অবনমিত হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিম্নমানের সরকারি বিদ্যালয়ের উপর আস্থা হারিয়ে ন্যুনতম সামৰ্থ থাকা অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের উচ্চ মাশুলের বিনিময়েও ব্যক্তিগত খণ্ডের বিদ্যালয়ে ভৰ্তি করাচ্ছেন। এ’ভাবেই সরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্ৰ-ছাত্ৰীর সংখ্যা হ্ৰাস পাচ্ছে এবং এর অজুহাতে সরকারি বিদ্যালয় বন্ধের অভিযান চালাচ্ছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের দরিদ্র-নিম্ন মধ্যবিত্ত- মধ্যবিত্ত জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষার সুযোগ অব্যাহত রাখতে সরকারের উদ্যোগে সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের ব্যবস্থা না করে বিদ্যালয়সমূহ বন্ধের পরিকল্পনার তীব্ৰ নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে এই জনবিরোধী ও শিক্ষাবিরোধী নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো সহ সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষার্থে অবিলম্বে সরকারি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্ৰেণী পর্যন্ত পাস-ফেল প্ৰথা পুন প্ৰবৰ্তন করা, প্ৰথম শ্ৰেণী থেকে গুরুত্ব সহকারে ইংরাজী ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয়ে প্ৰয়োজনীয় সংখ্যক প্ৰশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করা, শিক্ষকদের অশৈক্ষিক কাজে নিয়োজিত না করা ও বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাৰ্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবি জানানো হয়।

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়ে এ আই ডি এস ও’র কাছাড় জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি স্মারকপত্র মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জেলাশাসক মারফত প্রেরণ করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন সুজিত আকুড়া, সুবীর রায়, দিলীপ রী, শিবু বৈঞ্চব, প্রেমানন্দ দাস প্রমুখ

KRC TIMES | Promotional

Register your business, organisation, and services in ‘InfoCom Silchar Diary’
e-mail: infocom.krc@gmail.com
Know More | Apply Here

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *