শিলচর | দেবী দুর্গার আরাধনার জন্য ৩০০ টাকা ট্যাক্স না দিতে সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে আহ্বান জানাল বিডিএফ

2 - মিনিট |

দেবী দুর্গার আরাধনার জন্য ৩০০ টাকা সরকারি ট্যাক্স দেউলিয়া হিন্দুত্ববাদী সরকারের মেকী হিন্দুপ্রেমের প্রমান,এর প্রতিবাদে এবার সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর : দেবী দুর্গার আরাধনার জন্য ৩০০ টাকা সরকারি ট্যাক্স দেউলিয়া হিন্দুত্ববাদী সরকারের মেকী হিন্দুপ্রেমের প্রমান, কোনও অবস্থায় এই ট্যাক্স না দিতে সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে আহ্বান জানাল বিডিএফ।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে প্রকাশ যে দুর্গাপূজা করতে হলে পুজো কমিটিগুলিকে ৩০০ টাকা সরকারি ট্যাক্স ও বিসর্জনের মিছিলের জন্য ১০০ টাকা করে ট্যাক্স দিতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দিশপুরের হিন্দুত্ববাদী সরকার। এর প্রতিবাদে এবার সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থা এতই শোচনীয় যে দুর্গাপূজা করার জন্য এবং দুর্গামায়ের বিসর্জনের জন্যও সরকারি ট্যাক্স জারির বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন দুর্গোৎসব বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব যারজন্য সারা বছর ধরে বাঙালিরা মুখিয়ে থাকেন।

অথচ যে সরকার নিজেদের হিন্দু প্রেমী বলে প্রচার করে, সনাতন ধর্মের প্রচার ও প্রসার যাদের মূল লক্ষ্য বলে নেতারা ভাষন দেন সেই সরকার দুর্গামায়ের উপর ট্যাক্স বসিয়ে দিয়েছে! এমনকি ঠাকুর বিসর্জনের জন্যও ট্যাক্স দিতে হবে ! রাজ্যের বাঙালিদের জন্য এরচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কি হতে পারে !

Register your business, organisation, and services in ‘InfoCom Silchar Diary’
e-mail: infocom.krc@gmail.com
Know More | Apply Here

প্রদীপ বাবু এদিন বলেন যে বর্তমান রাজ্য সরকারের হাজার কোটির উপর ঋন রয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য ২৫০০ নতুন সুরার দোকান খোলার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। রাজ্যে নতুন ২৫টি টোল গেট বসানো হয়েছে। জনগনের উপর এসবের প্রভাব নিয়ে আদৌ চিন্তা না করে কিভাবে আরো টাকা আদায় করা যায় এটাই হচ্ছে এই সরকারের একমাত্র এজেন্ডা।

বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক এদিন আরো বলেন যে অধিকাংশ বিহু কমিটিগুলিকে গত বছর এক লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মুখ্যমন্ত্রীকে পুজো কমিটিগুলিকে অন্তত পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অনুদান দেবার জন্য বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

কিন্তু অনুদান দেওয়া তো দূরস্থান,উল্টে পুজো করতে গেলে ট্যাক্স দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে এই সরকার। তিনি বলেন প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৪০০০ পুজো কমিটিগুলিকে ৫০০০০ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মমতা বেগম’ বলে ব্যাঙ্গ বিদ্রূপ করেন হিন্দুত্ববাদীরা। তিনি বলেন যে তাহলে আসামে দুর্গাপূজার জন্য যারা ট্যাক্স বসিয়েছেন তবে কি তাদের সিরাজৌদ্দলা কিম্বা মীরজাফর বলে সম্বোধন করবেন তারা ?

প্রদীপ বাবু এদিন বলেন যে তাঁরা বরাকের সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছেন যে কেউ যদি কোন অবস্থায় এই ট্যাক্স না দেন। তিনি বলেন প্রয়োজনে তারা মিছিল করুন, মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারক পত্র দিন। সমস্ত কর্মসূচিতে বিডিএফ যথাসাধ্য তাঁদের পাশে থাকবে। প্রদীপ বাবু বলেন যে তারও আরাধ্য দেবতা দেবী দুর্গা এবং ব্যাক্তিগত স্তরে তিনিও হিন্দুধর্মের অনুরাগী। কিন্তু তাঁরা কখনো ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করেন না। তাই সরকারি এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিডিএফ সদাই সরব থাকবে বলে এদিন জানিয়েছেন তিনি ।

বিডিএফ আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে এদিন বলেন যে সমস্ত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বরাকে সক্রিয় তাঁরা এই ব্যাপারে নীরব কেন ? দুর্গাপূজাকে তারা কি হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব বলে মনে করেন না ? তিনি বলেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এই ব্যাপারে নিশ্চিত দায়িত্ব রয়েছে। তিনি আরো বলেন যে যারা হিন্দু স্বার্থরক্ষার নাম করে রাজ্যের অধিকাংশ বাঙালি হিন্দুদের ভোট হাসিল করেছেন তাঁরা যদি এই ব্যাপারে অবিলম্বে সংশোধনী পদক্ষেপ না নেন তবে আগামী নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে তাঁদের উপযুক্ত জবাব দেবেন বরাক তথা রাজ্যের বাঙালিরা।

বিডিএফ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন দেবায়ন দেব।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *