মায়ানমারের কুকি অনুপ্রবেশের জন্যই মনিপুর জ্বলছে

2 - মিনিট |

অভিমত বরাক মনিপুর ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের শান্তি আলোচনায়

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর :মায়ানমার থেকে ব্যাপক কুকি অনুপ্রবেশের জন্য আজ মনিপুর জ্বলছে।আর এর প্রভাব বরাকে পড়বে। আজ রাজিব ভবনে বরাক মনিপুর ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক শান্তি অভিবর্তনে এই অভিমত ব্যক্ত করেন মনিপুর ও বরাকের বুদ্ধিজীবীরা।

তারাজি জেসু আহ্বায়ক ডা:পি ডাকেশ্বর বলেন স্বাধীনতার পর থেকে দেখা যাচ্ছে মনিপুরে মৈথেই জনসংখ্যা কমছে মনিপুরে। অন্যদিকে‌‌ কুকি জনসংখ্যা বেড়েছে। এবং এই জনসংখ্যা বাড়ার মূল কারণ মায়ানমার থেকে ব্যাপক কুকি অনুপ্রবেশ। এবং তিনি তার অনুসন্ধান মূলক প্রতিবেদনে দেখিয়েছেন কিভাবে মাদক চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে কুকি অধ্যুষিত এলাকায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সবচাইতে বেশি বৃদ্ধির হার চোরাচাঁদপুর জেলায়। যেখানে কুকিদের বাস বেশি।

ওয়ার্ল্ড মৈতেই কাউন্সিলর এর মুখপাত্র ওয়াই নবকিশোর বলেন কুকিরা মণিপুরের আদিবাসী মোটেই নয়। এরা ১৮৪০ সালে মণিপুরে এসে বসতি স্থাপন করা শুরু করে। এরা মূলত এসেছে মায়ানমার থেকে। কোনভাবেই এরা আদিবাসী হতে পারে না। মনিপুরের আদিবাসীরা হল মৈত্রী ও নাগা। তিনি আরেকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন সেটা হল ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে একটা চুক্তি রয়েছে যার ফলে দুই দেশের নাগরিক যে কোন দেশের ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন।

এতে মায়ানমারের অপ্রবেশকারীদের সুবিধা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মনিপুরের এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, এই বিষয়গুলিকে কোন সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সাসপেনশন অফ অপারেশন চুক্তি করার কোন প্রয়োজন ছিল না। এই চুক্তির সুযোগ নিয়ে এখনো কুকিঙ্গীরা দাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

যার জন্য ভারত সরকার এত বিশাল বাহিনী থাকার পরও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারছে না এবং মনিপুরের এই ঘটনার প্রভাব বরাক উপত্যকায় পড়তে পারে এই সাবধান বাণী শুনান বিভিন্ন বক্তা। কারণ যেখানে খালি জায়গা থাকবে সেখানেই তারা আশ্রয় নেবে। তাই বলাক উপত্যকা কোনভাবে এটার থেকে নিরাপদ থাকতে পারে না।

অনুষ্ঠানে এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন মনিপুরী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রিনা সিং, জেলা পরিষদ সভানেত্রী কে জানকি, এনআইটি মনিপুরের ইলেকট্রনিক্স ইলেকট্রনিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এ দিনমনী সিং, শিলচর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শংকর দে, কমলাকান্ত সিং, ইম্ফলের ফরওয়ার্ড ক্লাবের সভাপতি ওয়াই বোধিচন্দ্র সিং, ইম্ফলের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীকে গজেন্দ্র সিং , মনিপুরী ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোডাকশন কো অর্ডিনেশন কমিটির ডক্টর কে এন চাঁদ সিংহ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *