সরকারি কাজের শিলান্যাস কিভাবে একটা দলের জেলা সভাপতি করতে পারেন ?
শিলচর:সোনাই শহরে দুটি প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন জেলা বিজেপির সভাপতি বিমলেন্দু রায় । পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দিয়ে দুটা প্রকল্পের কাজ হবে । কাজের ফলকে লেখা জেলা বিজেপির সভাপতি বিমলেন্দু রায় শিলান্যাস করছেন। এবং ২ জুন তিনি নিজে গিয়ে সেটা করে আসলেন । সোনাই পুরসভার এই শিলান্যাস অনুষ্ঠান কিন্তু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে । সরকারি কাজের শিলান্যাস কিভাবে একটা দলের জেলা সভাপতি করতে পারেন ? এখানে দল ও সরকার দুটা আলাদা জিনিসকে একবারে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে ।
জনপ্রতিনিধি বা অফিসার যে কেউ একটা স্কিমের শিলান্যাস করতে পারেন এমন বিধান রয়েছে । জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায় এর আগেও একবার বিজেপি পরিচালিত সোনাই পুরসভার কয়েকটি স্কিমের শিলান্যাস করেছিলেন । সোনাই পুরসভার এক্স অফিসিও মেম্বার হচ্ছেন সাংসদ রাজদীপ রায় ও সোনাই’র বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভুইয়া । তাদের দিয়ে এই দুটি প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্টান করা যেত । সোনাই পুরসভা কেন সেটা করেনি ? অতীতে কংগ্রেস ক্ষমতাসিন থাকার সময়কংগ্রেসের কোন জেলা সভাপতিকে সরকারি কাজের শিলান্যাস করতে দেখা যায়নি।
আগামী একবছরের থেকে কম সময়ের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন । সাংসদ রাজদীপ রায়ের সামনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে । এমতাবস্থায় রাজদীপ রায়কে অবজ্ঞা করে সোনাই পুরসভার এহেন পদক্ষেপের কারণটা কি এ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রায় এক বছর আগে সাংসদ রাজদীপ রায় তার সোনাইর নমিনি ‘ চিটি মারফত নিয়োগ করেছিলেন । এইতো ক’মাস আগে সেই নমিনিকে প্রত্যাহার করেছিলেন ।
শিলান্যাস অনুষ্টানে সাংসদ রাজদীপ রায়কে ব্যাত্য করার কারন কি এটা ? অন্য দিকে সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড় ভূঁইয়া সাজু পুর্ত বিভাগের অনেক কাজের শিলান্যাস করেছেন । এর মধ্যে রাস্তা নির্মাণ করার দুইটা কাজে সোনাই পুরসভার চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ফলকে দিয়েছিলেন সাজু । কিন্তু সোনাই পুরসভায় অনেক কাজের শিলান্যাসে কখন ও ফলকে বিধায়ক সাজুর নাম দেওয়া হয়না । এ নিয়ে সোনাইজুড়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।