লক্ষ্মীপুর ধলাইয়ে কাজ শুরু হলেও সোনাইর খবর নেই
শিলচর: কাছাড়ের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য জমি চাওয়া হয়েছিল। একমাত্র লক্ষ্মীপুর ও ধলাইয়ে স্টেডিয়াম বরাদ্দ হয়েছে। লক্ষিপুর এবং ধলাইয়ে দুটি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজও চলছে । এর আগে জেলা ক্রীড়া অফিস থেকে কাছাড় জেলার বিভিন্ন স্টেডিয়াম নির্মাণ করার সুপারিশ সংক্রান্ত চিটি পাঠানো হয়েছিল ।
জেলা ক্রীড়া আধিকারিক এস দাস এমর্মে সঞ্চালক, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক অফিসে যাবতীয় নিয়মাবলি মেনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন । সরকারের তরফে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় একটি করে স্টেডিয়াম ও জেলা হেডকোয়ার্টারে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল । শিলচর জেলা হেডকোয়ার্টারে পর্যাপ্ত জমি না পেয়ে সেখানে “স্পোর্টস কমপ্লেক্স” নির্মাণ করার সরকারের পরিকল্পনা আপাতত আটকে যায় ।
শিলচর জেলা ক্রীড়া অফিস সেটা পেন্ডিং রেখে দেয় । পর্যাপ্ত জমি বন্দোবস্ত হলে সেটার প্রস্তাব শিলচর জেলা ক্রীড়া অফিস থেকে আগামী দিনে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে । অন্যদিকে, স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি পেয়ে কাছাড় জেলার বড়খলা, ধলাই, সোনাই এবং লক্ষিপুর কেন্দ্র থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু অনুমোদন পায় শুধু ধলাই ও লক্ষীপুর । সোনাই ও বড়খলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ করার বিভাগীয় প্রস্তাব সরকার অনুমোদন করেনি।
এখানে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো বড়খলায় বাগান কতৃপক্ষের সহযোগিতায় জমি বন্দোবস্ত হয়েছিল । বাগানের জায়গা ওরা লিখিতভাবে স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য দিয়েছিলেন । আর অন্য দিকে সোনাই বিধানসভা এলাকার সৈইদপুর জিপির বারিকনগরের কিছু লোককে সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভুইয়ার মধ্যস্থতায় জমি দান করতে রাজি করানো হয়েছিল।
সৈইদপুর জিপির বারিকনগরের কয়েকজন মিলে সর্বমোট ২৫ বিঘা জমি জেলা ক্রিড়া অফিসের নামে রেজিশ্ট্রারি করে দান করেন। বিধায়কের প্রতিশ্রুতি শুনে নিজের চাষের জমি দান করার উদ্দেশ্যে ছিল এলাকার উন্নয়ন করা । সেই দানকরা জমির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা । একবছর অতিক্রম হয়ে গেছে।
কিন্তু আজও সেখানে স্টেডিয়াম নির্মাণ করার কোন সরকারি আদেশ আসেনি । এতে এই দাতারা অত্যন্ত হতাশ। অনেক স্বপ্ন দেখে তারা তাদের একমাত্র সম্বল জমি দান করেছিলেন। কিন্তু স্টেডিয়াম নির্মাণের কোন খবর নেই। অথচ পাশেই লক্ষ্মীপুর ও ধলাইয়ে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ জোরকদমে চলছে ।
সেখানে সোনাই এলাকার সৈদপুরের জমিদাতারা অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জমিদাতা বলেছেন যে “বিধায়ক আমাদের এই নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি পাইয়ে দেবেন বলে আশা দিয়েছিলেন । আজ এতদিন হল আমাদের জায়গায় কোন স্টেডিয়াম নির্মাণ হচ্ছে না দেখে আমাদের ভয় লাগছে । ” তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব যদি পাশ না হয় তবে কি তারা এই দান করা জমি ফিরিয়ে পাবেন ?
এটা নিয়ে চাপা ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে । সোনাই’র বিধায়ক সাজু এখানে স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে কতটুকু সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন সেটা সময়ই বলে দেবে । কিন্তু এখন উদ্বেগের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন এই জমিদাতারা। এখন তাদের একটাই চিন্তা স্টেডিয়াম হবে কিনা ঠিক নেই কিন্তু জমিটা যাতে পাওয়া যায়।