কমল চক্রবর্তী বলেন সিভিল হাসপাতালে এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল পরিবারের রোগীদের চিকিৎসা খরচ বহন করা মুশকিল হবে
শিলচর : শিলচরের শতাধিক প্রাচীন সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বহির্বিভাগের রোগীদের এতদিন বিনামূল্যে সনোগ্রাফী করার যে সুবিধা ছিল তা আজ থেকে রেডিওলজিষ্টের অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সিভিল হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সিভিল হাসপাতাল আধুনিকীকরণ দাবি কমিটি। বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মূখ্য আহ্বায়ক কমল চক্রবর্তী, নাগরিক স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য দীপঙ্কর চন্দ এবং রূপম সাংস্কৃতিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নিখিল পাল।
কমল চক্রবর্তী বলেন সিভিল হাসপাতালে এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল পরিবারের রোগীদের চিকিৎসা খরচ বহন করা মুশকিল হবে। আসাম সরকার রাজ্যের সমস্ত সিভিল হাসপাতালে সনোগ্রাফী ও বেশ কিছু রোগ নির্ণয়ের জন্য রক্তের পরীক্ষা বিনামূল্যে করানোর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই জনকল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে কাছাড় জেলার মানুষ।
তিনি বলেন সিভিল হাসপাতাল আধুনিকীকরণ দাবি কমিটির পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগেই সনোগ্রাফী করানোর জন্য রেডিওলজিষ্ট নিয়োগের দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উপসঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মন, সিভিল হাসপাতালের সুপার ডাঃ অপূর্ব কুমার পাটোয়ার কাছে প্রদান করা হয়। এছাড়াও এই স্মারকপত্রের প্রতিলিপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা ডাঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নিকট ইমেইলে পাঠানো হয়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। দীপঙ্কর চন্দ বলেন নির্বাচন এলে সিভিল হাসপাতালের আধুনিকীকরণের কথা নেতাদের মুখে শোনা যায় অথচ নির্বাচন চলে গেলে সিভিল হাসপাতালের সমস্যাগুলো চাপা পড়ে যায়। তিনি বলেন সিভিল হাসপাতালের অস্তি, চক্ষু, শল্য বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। ফলে রোগীদের এসব চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয় না।
আসামের রাজ্যপাল কিছুদিন আগে শিলচর সিভিল হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সিভিল হাসপাতালের এই অব্যাবস্থা দেখে অতিসত্বর চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সুপারিশ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। নিখিল পাল মহাশয় জনপ্রতিনিধিদের এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন হরিদাস দত্ত, সুরজিৎ সোম, সত্যজিৎ গুপ্ত, হিল্লোল ভট্টাচার্য, নন্দ দুলাল সাহা, খাদেজা বেগম লস্কর, হিউম্যান সায়েন্স এর সমির বোস, ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির সাবির আহমেদ, রূপম সাংস্কৃতিক সংস্থার ভাস্কর দাস, সুভাষ বর্মন, অমিতাভ দে, শংকর দাস সহ প্রেমানন্দ দাস, বিপ্লব ঘোষ, বুদ্ধ পাল, রেনু বেগম প্রমূখ।