সংখ্যালঘু রাজনীতিতে একঘরে হচ্ছেন সাজু

2 - মিনিট |

ডি লিমিটেশন নিয়ে যেভাবে তিনি উগ্রভাবে কথাবার্তা বলেছেন এবং প্রচার করছেন যে এতে শুধু মুসলমানরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর: সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছিলেন যে ক্ষতিপূরণ তিনিই দেবেন। সেই মতে কলেজ রোডে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করলেন সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া সাজু। আর একই সময় আরেকটি সংখ্যালঘু প্রতিনিধি দল কৈবর্ত সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন।

সেই দলে ছিলেন বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম লস্কর বিধায়ক আতাউর রহমান মাজারভূঁইয়া ,বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার সংখ্যালঘু উন্নয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান আমিনুল হক লস্কর প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি শরিফুজ্জামান লস্কর প্রমুখ। তারা সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেন। এ সম্পর্কে আর কোন ধরনের উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য উপপক্ষেই পদক্ষেপ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এই আলোচনায় দেখা গেল না করিম উদ্দিনকে।

এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মত যে সংখ্যালঘু রাজনীতিতে করিম উদ্দিন বড় ভূঁইয়ার সঙ্গে কেউই যেতে চাইছেন না। করিম উদ্দিন যখন ক্ষতিপূরণ দিতে গেলেন তখন তার সঙ্গে বরাকের কোন সংখ্যালঘু নেতা ছিলেন না। তিনি অনেকটাই সংখ্যালঘু রাজনীতিতে কোন ঠাসা এটা প্রমাণিত। গত কয়েকদিন ধরে ডিলিমিটেশনের বিরুদ্ধে যেভাবে তিনি আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে দিচ্ছিল তাতে মনে হচ্ছিল তার এলাকা সোনাই সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু এলাকায় সাংঘাতিকভাবে বন ধ পালিত হবে।

কিন্তু তার নির্বাচন এলাকা সোনাইয়ে বনধ কার্যতা ব্যর্থ হয়েছে। বিধায়ক নিজামুদ্দিন চৌধুরী গ্রেফতারে তার ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে সংখ্যালঘু রাজনীতিতে অন্য কোন সংখ্যালঘু নেতারা তার সঙ্গে একাসনে বসতে চাইছেন না। এর পেছনে কি কারণ থাকতে পারে।

ডি লিমিটেশন নিয়ে যেভাবে তিনি উগ্রভাবে কথাবার্তা বলেছেন এবং প্রচার করছেন যে এতে শুধু মুসলমানরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ।এতে সার্বিকভাবে ডিলিমিটেশন বিরোধী আন্দোলনের ক্ষতি হতে পারতো। কারণ এক্ষেত্রে অন্য সমাজের কাছে বার্তা যেত যেটা মুসলমানদের ক্ষতি হয়েছে তাহলে আমাদের কি। এটা বরাক উপত্যকার সংখ্যালঘু নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন। তাই কংগ্রেস ও অন্য দলের সংখ্যালঘু নেতারা তার সঙ্গে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলছে ন।

যার প্রমাণ এই বৈঠক। এছাড়া যেভাবে জেলা শাসকের অফিসে শান্তি বৈঠকে তিনি বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে না বসে ডি আই জির আসনে বসেছিলেন সেটা অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু লেগেছিল। ডিলিমিটেশন বিরোধী আন্দোলনে প্রথম থেকে যেভাবে তিনি অতি সক্রিয় ছিলেন তাতে অনেকেরই মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু যেদিন বন ধ হওয়ার কথা সেদিন তার নিষ্ক্রিয়তার পরিলক্ষিত হয়েছে সর্বত্র। তাই তার ভূমিকায় জন্য তার সঙ্গে একটা দূরত্ব রেখে চলছেন অন্য সংখ্যালঘু নেতারা।

অনেকেরই ধারণা তিনি আসলে সরকার পক্ষে হয়ে কাজ করছে ন। এ ধরনের মন্তব্য কংগ্রেসের সংখ্যা লঘু নেতারা অনেকবারই করেছেন। তাই যতই তিনি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম থাকুন না কেন তাকে নিয়ে কিন্তু সব সময় বিতর্ক চলতে থাকে। বিশেষ করে ডি লিমিটেশন আন্দোলনে সাম্প্রতিক তার ভূমিকা নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। হঠাৎ তীব্র আন্দোলন তারপরে চুপ হয়ে যাওয়া এতে তার প্রতি বিরাট ভাজন হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। এটাই মনে করছেন সংখ্যালঘু নেতারা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *