প্রতিটি রাজ্য থেকেই প্রতি বছর এনএমসিতে প্রতিনিধি থাকবে
সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার পর এবার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভাতেও ৪ সংশোধনী নিয়ে পাশ হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল। এআইএডিএমকের সদস্যদের ওয়াকআউট সত্বেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয় বিলটি।
২৯ জুলাই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল ২০১৯ লোকসভায় পাশ হয়। বিলটি নিয়ে এদিন বিতর্কের সময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, নিট ইতিমধ্যেই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ১৩টি ভাষায় সংস্থাটি পরীক্ষাও নিয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল পাশ হলে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রবেশিকা পরীক্ষা বাস্তবায়িত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়ার জন্য গুলাম নবি আজাদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এদিন হর্ষবর্ধন আরও বলেন, দেশের ডাক্তরি শিক্ষায় বড় ধরণের সংস্কার আনবে এই বিল বলেও আশাবাদী হর্ষবর্ধন। দুর্নীতিতে জর্জরিত মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইণ্ডিয়ার (এমসিআই) অবলুপ্তি ঘটিয়ে নতুন সংস্থা গড়ে তোলা হবে।পাশাপাশি বৃহৎ হারে দেশজুড়ে ডাক্তারি শিক্ষার আসন সংখ্যাও বাড়ানো হবে। দেশের ডাক্তারি শিক্ষায় মান ও বিকাশ দুটোই বজায় থাকবে। ডাক্তারি পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের জন্য কোনও ভাবেই অসুবিধা তৈরি করবে না এই বিল। উল্টে তাঁদের সহযোগিতা করতেই এই বিল প্রণয়ন করা হয়েছে।
দেশের সমস্ত চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন, আমি যেহেতু নিজে চিকিৎসক তাই নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি এই বিল কোনও ভাবেই কোনও চিকিৎসকদের বঞ্চিত করবে না। পাশাপাশি চিকিৎসকদের যে সব অভিযোগ রয়েছে তাও মন দিয়ে শোনা হবে। এমনকি ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোনও দাবি থাকলে তাও যথাযথ ভাবে শোনা হবে।