সিএবি আইনে পরিণত হওয়ার ফলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে ছ’টি অ-মুসলিম (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সম্মতিও দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবার আইনে পরিণত হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) ২০১৯। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হওয়ায় পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষা ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, ফলে আইনে পরিণত হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।
গত সোমবার মধ্যরাতে ৩১১-৮০ ভোটে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হয় শাসক শিবির। এরপর বুধবার পেশ হয় রাজ্যসভায়। প্রায় সাত ঘন্টার টান টান বিতর্কের শেষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভোটাভুটির হয় ভোটের ফল ছিল ১২৫-১০৫। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছিল ১২৫টি, বিপক্ষে ১০৫। লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হওয়ায় পর রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষায় ছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতি সই করার পরই আইনে পরিণত হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সিএবি আইনে পরিণত হওয়ার ফলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে ছ’টি অ-মুসলিম (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।