সাত দশকে শহুরে জনস্ফীতির নিরিখে ভারতকে টেক্কা দিয়েছে চিন

< 1 - মিনিট |

‘লহ এ নগর’— কবির আকুতির ভাষা যাই হোক আমজনতা কিন্তু নগরমুখীই। দাও ফিরে সে অরণ্য— মুখে যে যাই বলি, গ্রামে থাকার আগ্রহ নেই আমাদের কারও

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক সমীক্ষায় ফুটে উঠেছে এক ভিন্নরকম ছবি। শিল্পায়নের সাথে সাথে বেড়েছে নগরায়ন। এতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৮০-র মধ্যেই জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে মাত্রা পেয়েছিল নগরায়ন। চিনের শহুরে জনসংখ্যা চার দশকে বেড়েছে তিনগুন। 

সমীক্ষায় প্রকাশ, ১৯৫০ সালে ব্রিটেন, জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ছিল শহুরে জনসংখ্যা— যথাক্রমে ৭৯, ৬৮ ও  ৬৪ শতাংশ। ১৯৮০-তে এই তিন দেশে সংশ্লিষ্ট শতাংশ দাঁড়ায় যথাক্রমে ৭৮, ৭৩ ও  ৭৪ শতাংশ। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ওই তিন দশকে ব্রিটেনে শহুরে জনসংখ্যার শতাংশ সামান্য কমেছে। কিন্তু ২০১৯-এ এই তিন দেশে সংশ্লিষ্ট শতাংশ দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮৪, ৭৭ ও ৮২ শতাংশ। 

১৯৫০, ১৯৮০ ও ২০১৯-এ জাপানের জনসংখ্যার যথাক্রমে শহুরের শতাংশ ৫৩, ৭৬ ও ৯২ শতাংশ। রাশিয়ার ৪৪, ৭০ ও ৭৫ শতাংশ। ফ্রান্সের ৫৫, ৭৩ ও ৮১ শতাংশ। লাতিন আমেরিকার ব্রাজিলের ক্ষেত্রে ৩৬, ৩৫ ও ৮৭ শতাংশ।

ভারত ও চিনের ক্ষেত্রে এই শতাংশের হার যথাক্রমে ১৭, ২৩ ও ৩৪ শতাংশ এবং ১২, ১৯ ও ৬০ শতাংশ। এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে ভারত, ব্রাজিল ও চিনে শহুরে জনসংখ্যা বেড়েছে তুলনামূলক বেশি| গত ৭০ বছরে এই বৃদ্ধির হার যথাক্রমে দ্বিগুন, প্রায় আড়াইগুন ও পাঁচগুন|

শিক্ষাবিদ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী শঙ্কর সেনের মতে, “মহানগরের অর্থ হল গুচ্ছায়িত মানুষ, বাসস্থল ও পরিবহন ব্যবস্থা- ফল জটিল নাগরিক ইকো-ব্যবস্থা। চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ-সুবিধা দুই-ই আছে যার মুখোমুখি হতে হবে সার্বিকভাবে। শহরগুলি হল সৃজন, নব-প্রবর্তন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কৃষ্টি-বিকাশের কেন্দ্রস্থল, ফলে এখানে সাধারণত: জিডিপি-র ২০-শতাংশ মতন উৎপাদন করা সম্ভব।

অন্যদিকে, ‘সুন্দর জীবন’-এর আশায় অন্য স্থান থেকে (বিশেষত: গ্রামগুলি থেকে) পাড়ি জমানো মানুষের নিম্নমানের শিক্ষা, জীবন-যাত্রা, দারিদ্র্য ও কর্মহীনতা হল দুঃখজনক বাস্তব। আর সারা বিশ্বে  শহরগুলি ‘শোষণ’ করে উৎপন্ন শক্তির প্রায় ৭০-শতাংশ। রক্ষিত উন্নয়নের মডেল সৃষ্টি করতে হলে এখান থেকেই শুরু করতে হবে।“

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news