সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তাল বেঙ্গালুরু, রামচন্দ্র-সহ আটক বহু বিক্ষোভকারী

< 1 - মিনিট |

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বনধের ডাক দেয় বাম সংগঠন এবং বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন। বনধ রুখতে সকাল থেকেই তত্পর ছিল পুলিশ। গ্রামীণ জেলা-সহ সমগ্র বেঙ্গালুরুতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (সিএএ)-র প্রতিবাদে উত্তাল হল বেঙ্গালুরু। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বনধের ডাক দেয় বাম সংগঠন এবং বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন। বনধ রুখতে সকাল থেকেই তত্পর ছিল পুলিশ। গ্রামীণ জেলা-সহ সমগ্র বেঙ্গালুরুতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা থেকে আগামী ৩ দিন জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। বেঙ্গালুরুর টাউন হল এলাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। বড়সড় জমায়েতও নিষিদ্ধ করা হয়। 

কিন্তু, নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই টাউন হলের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় বেঙ্গালুরুর টাউন হল এলাকা থেকে আটক করা হয় ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, কংগ্রেস বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ-সহ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে। রামচন্দ্র গুহ জানিয়েছেন, ‘সংবাদমাধ্যমকে সবিধান নিয়ে বলার সময় আমাকে আটক করে পুলিশ। আমার হাতে গান্ধীজীর একটি প্ল্যাকার্ড ছিল।’ তাঁর প্রশ্ন দেশে কি স্বৈরতন্ত্র চলছে? পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। কোনও অশান্তি হয়নি। কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ এমন কাজ করছে।’  অশান্তি রুখতে বৃহস্পতিবার সকালেই বেঙ্গালুরুর সিটি পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও-সহ শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের পক্ষ থেকেও গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়। সমগ্র বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বাম সংগঠন ও বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, ‘সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নেপথ্যে কংগ্রেসের হাত রয়েছে, তাই এই ধরনের পরিস্থিতি। মুসলিমদের যত্ন নেওয়ার আমাদের কর্তব্য। প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ শান্তি বজায় রাখুন। কংগ্রেস নেতারা যদি বিক্ষোভকে সমর্থন করেন তাহলে পরিণতি ভুগতে হবে।’ ইয়েদুরাপ্পা আরও বলেছেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে শান্তি বজায় রাখার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল, নেতা ও জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে অনুরোধ ও আবেদন জানাচ্ছি। সিএএ এই দেশের নাগরিকদের জন্য কোনও বিপদ নয়।’ 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news