সিএবি-র নিয়ে এ রাজ্যের শাসক দল শরণার্থী হিন্দু বাঙালিদের ঠকাচ্ছে, অভিযোগ এবিভিপি-র

< 1 - মিনিট |

এবিভিপি-র রাষ্ট্রীয় সম্পাদক এবং রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকারের মতে, “এটা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।”

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

রাজ্যের শাসক দল যেভাবে সিএবি-র বিরুদ্ধে দাঁড়াল, তা শরণার্থী হিন্দু বাঙালিদের ঠকানোর নামান্তর বলে অভিযোগ করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। সংগঠনের রাষ্ট্রীয় সম্পাদক এবং রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকারের মতে, “এটা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।”

সংগঠনের রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক কুমারি নিধি ত্রিপাঠি বৃহস্পতিবার বলেন “ভারত সরকার প্রতিবেশী দেশের পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে অত্যাচারিত নাগরিকদের কষ্ট বুঝে নাগরিকত্ব দেওয়ার সুদূরপ্রসারি কাজ করছে।ভারতীয় ইতিহাসে শরণার্থীদের পাশে থাকার অনেক বড় পরম্পরা আছে যা এই সরকার আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু বুদ্ধিজীবী এই বিষয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ছাত্র সমাজের কাছে আহ্বান করছি সমাজে যারা ভুল বোঝানোর কাজ করছে তাদের চিন্নিত করে সঠিক বিষয় মানুষের সামনে আনার কাজ করুন।”

সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের দ্বারা লোকসভায় এবং রাজ্যসভায়  গুরুত্বপূর্ণ এবং বহু প্রতীক্ষিত সিএবি পাস করার বিষয়টিকে অভিনন্দন এবং স্বাগত জানাই। এই বিল নিশ্চিত রূপে ধার্মিক কারণে ভারতে আসা অত্যাচারিত পাকিস্থান,বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের যথাযোগ্য সম্মানের সাথে নাগরিকত্ব দেওয়ার সহায়ক হবে। সংগঠনের রাষ্ট্রীয় সম্পাদক এবং রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার বলেন “এতদিনে হিন্দু শরণার্থীরা যোগ্য সম্মান পেলেন। বাঙালি শরণার্থীদের জন্য এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ়ভাবে চিন্তা করলেন। এই উদ্যোগের জন্য সত্যি কেন্দ্রীয় সরকারকে সাধুবাদ। কিন্ত রাজ্যের শাসক দল যেভাবে এই সিএবি-এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কাজ করলেন, তা শরণার্থী হিন্দু বাঙালিদের ঠকানো এবং ভোট ব্যাংকের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। এই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন রাজনৈতিক দল বাঙালিদের পক্ষে চরম ক্ষতিকর বলে মনে করি।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news