সূর্যগ্রহণ দেখা যায় ওডিশার ভুবনেশ্বর, কেরলের কোচি, গুজরাটের আহমেদাবাদ, তামিলনাড়ুর চেন্নাই সর্বত্রই। সূর্যগ্রহণের জন্য এদিন সকালে বন্ধ রাখা হয় দিল্লির বিড়লা মন্দির।
প্রায় এক দশক পরে সূর্যের বলয়গ্রাসের সাক্ষী হল ভারত। বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যের বলয়গ্রাসের সাক্ষী থেকেছে ভুবনেশ্বর, কোচি, আহমেদাবাদ, চেন্নাই-সহ দেশের বিভিন্ন শহর। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও কেরল-দক্ষিণ ভারতের এই তিনটি রাজ্যের প্রায় সমস্ত জায়গা থেকেই সূর্যগ্রহণ স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে আংশিক দেখা গিয়েছে সূর্যগ্রহণ। ভারত ছাড়াও সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থেকেছে পাকিস্তান এবং দুবাইও।
তবে, সূর্যের বলয়গ্রাস স্পষ্টভাবে চাক্ষুস করতে পারলেন না কলকাতার মানুষজন। সূর্যগ্রহণ দেখার আশায় বুক বেঁধেছিল বাঙালি। কিন্তু, সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এবং একটি উচ্চচাপ বলয়। প্রকৃতির এই জোড়া ফলাতেই বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ ছিল মেঘলা। তাই স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি সূর্যগ্রহণ। আকাশে মেঘ থাকা সত্ত্বেও কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত কিছু সময়ের জন্য চাক্ষুস করা গিয়েছে সূর্যের আংশিক গ্রহণকে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকলের কপাল ভালো ছিল না। তার উপরে কলকাতার কোনও কোনও অংশে আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাতও হয়েছে। কলকাতা ছাড়া কোচবিহার থেকেও আংশিক গ্রহণ দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটার কিছু পরই শুরু হয়ে যায় সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণ দেখা যায় ওডিশার ভুবনেশ্বর, কেরলের কোচি, গুজরাটের আহমেদাবাদ, তামিলনাড়ুর চেন্নাই সর্বত্রই। সূর্যগ্রহণের জন্য এদিন সকালে বন্ধ রাখা হয় দিল্লির বিড়লা মন্দির। চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ এটাই। প্রায় এক দশক পরে ভারত ফের সূর্যের বলয়গ্রাসের সাক্ষী হল। এই গ্রহণে গোটা সূর্য চাঁদের আড়ালে ঢাকা পড়ে না। সূর্যের বাইরের অংশটি উজ্জ্বল বলয়ের আকারে দৃশ্যমান হয়। এটা হয় পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের আপেক্ষিক দূরত্বের ফারাকের কারণেই।