‘সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ’ দিবস পালনে মুখ্যমন্ত্রী

< 1 - মিনিট |

“২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালে দুর্ঘটনা কমেছে ৩৫ শতাংশ । মৃত্যু কমেছে ২৭ শতাংশ । ২০১৬ সালে শহরে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০৭ জন । ২০১৮ সালে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯৪ জনে ।”

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

আজ ৮ জুলাই, ‘সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ’ দিবস | সোমবার এই বিশেষ দিনটিতে হরিশ মুখার্জি রোড এবং বেণীনন্দন স্ট্রিটের সংযোগস্থলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-র তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে, হরিশ মুখার্জি রোডে ৩০০ বাইক নিয়ে কলকাতা পুলিশের সচেতনতা-যাত্রার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ।

 এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে কলকাতায় দুর্ঘটনা কমেছে ৩৫ শতাংশ । কমেছে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও । রাজ্যেও দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু অনেকটাই কমেছে ।’’ রাজ্য সরকারের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেখে ওডিশা এবং ঝাড়খণ্ড সরকার পথনিরাপত্তা নিয়ে সরকারি প্রকল্প শুরু করেছে।’’ তাঁর কথায়, “২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালে দুর্ঘটনা কমেছে ৩৫ শতাংশ । মৃত্যু কমেছে ২৭ শতাংশ । ২০১৬ সালে শহরে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০৭ জন । ২০১৮ সালে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯৪ জনে ।” তাঁর কথায়, “একমাত্র বাংলায় ৩৬৫ দিন ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ অভিযান চালানো হয় ।”

 এদিন কলকাতা পুলিশের সচেতনতা-যাত্রার উদ্বোধন করার পর, পুলিশের কাজের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী | তিনি বলেন, “কখনও পুলিশের কাজে ভুলত্রুটি হলে তাদের কাজের সমালোচনা করা হয় । তবে তাদের দিকটিও মাথায় রাখতে হবে | ওঁরা রোদ ঝড় জলে দাঁড়িয়ে কাজ করেন । বেপরোয়া বাইক বা গাড়ির দৌরাত্ম্য রুখতে এই অভিযান চলবে । আমরা কারও বিরুদ্ধে নই । পুলিশ কাউকে হ্যারাস করবে না । শুধু আইন নিয়ম মেনে চলতে হবে । পুলিশ কাজটা খুব ভালোভাবে করছে । সমাজের সকলেই একাজে পুলিশকে সাহায্য করছে ।”

 এদিন বেপরোয়া বাইক চালকদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা দিয়ে, হেলমেট পরার ব্যপারে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী | তিনি বলেন, “এক-দু’মিনিটের তাড়াহুড়ো প্রাণঘাতী হতে পারে । তাই বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন ।” এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সহ পুলিশের অন্যান্য শীর্ষ কর্তারা ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news