১৯৮৮ সাল থেকে, ১৩৯ টি দেশ আদালত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় 80 টি রাজ্য এর অনুমোদন করেছে
দেশসহ বর্হিবিশ্বের আইনী সম্প্রদায় ‘বিশ্ব সুবিচার দিবস’ পালনে ব্রতী হয়েছে। সারা সপ্তাহ ধরেই চলবে তার রেস। আজকের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই বিশ্ব সুবিচার দিবস তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার দিবস নামেও পরিচিত। অবশ্য এর পিছনে রয়েছে বড়সড় একটা কারণ। ১৯৯৮ সালের আজকের দিনটিতেই সর্বপ্রথম রোমের সংবিধান স্বাক্ষরিত হয়। এরপর এই চুক্তির ওপর নির্ভর করেই গড়ে তোলা হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল আদালত যা সংক্ষেপে আইসিসি নামেও পরিচিত।
২০১০ সালে ১জুন উগান্ডাতে পুন:রায় অনুষ্ঠিত হয় রোম সংবিধানের পর্যালোচনা সম্মেলন। এই দিনই সর্বসম্মতিক্রমে ১৭ জুলাই দিনটিকে আন্তর্জাতিক সুবিচার দিবসের তকমা দেওয়া হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে, ১৩৯ টি দেশ আদালত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় 80 টি রাজ্য এর অনুমোদন করেছে।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের বাহ্যিক বিকাশ হলেও মানবতার বিকাশের ক্ষেত্রে অধঃপতনের চিত্রই বেশী পরিলক্ষিত। গণহত্যা, দাসত্ব, নির্যাতন, গনধর্ষণ এই সমস্ত নারকীয় ঘটনার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি মানব সমাজের অগ্রগতির মূলে যে কুঠারাঘাত করছে তা দাবী করা যায় অনায়াসেই। এই দিন উদযাপনের মূল লক্ষ্যই হল প্রত্যেক মানুষের মধ্য়ে মূল্যের বিকাশ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো। এরপাশাপাশি সকলের জন্য ভালো আইন প্রণয়ন করতে এবং সবাই যাতে বিচার পায়, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর আইসিসি ।
আন্তর্জাতিক সুবিচারের দিবস সম্পর্কিত বিশেষ তথ্য!
জার্মানির নিউইয়র্কবর্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন প্রথমবার মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করা হয় । ২২ জন অভিযুক্ত নাৎসি নেতাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া পাই বিচারের পর ।
“গণহত্যা” শব্দটির উৎপত্তি নুরেমবার্গ। একজন আইনজীবী ইহুদিদের জন্য নাৎসি নির্মূল পরিকল্পনাটির বর্ণনা দিতে গিয়েই এই শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন।
১৯৯৮ সাল থেকে আইসিসি প্রায় ২০০ -র কাছাকাছি ‘আনস্পিকেবল’ বা অনির্বচনীয় ক্রাইম কেসের বিচার সম্পন্ন করেছে।