২০১৯-২০ অর্থবর্ষের আগরতলা পুর নিগমের ২০৮ কোটি ৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার বাজেট পেশ

2 - মিনিট |

মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা আজ বাজেট পেশ করে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায়-সহ পুর নিগমের কোষাগারে মোট অর্থ জমা পড়বে ২০৭ কোটি ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা৷ সেই তুলনায় খরচ হবে ২০৮ কোটি ৫ লক্ষ ৮১ টাকা৷ ফলে, ঘাটতি থাকছে ৯৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেছে আগরতলা পুর নিগম৷ প্রতি বছরের মতোই ঘাটতি রেখে ২০৮ কোটি ৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার বাজেট পেশ করেন মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা৷ ঘাটতি ৯৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা৷ এই বাজেটের উপর আগামী ২৯ জুন আলোচনা হবে৷ আজ পুর নিগমের মেয়র বাজেট পেশ করে জানিয়েছেন, কর সংগ্রহে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হবে৷ তাঁর কথায়, বাজেটে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব নেই৷ তবে, প্রয়োজনের তাগিদে সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ এক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি হতে পারে, এমনটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেননি তিনি৷
মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা আজ বাজেট পেশ করে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায়-সহ পুর নিগমের কোষাগারে মোট অর্থ জমা পড়বে ২০৭ কোটি ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা৷ সেই তুলনায় খরচ হবে ২০৮ কোটি ৫ লক্ষ ৮১ টাকা৷ ফলে, ঘাটতি থাকছে ৯৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা৷
তাঁর দাবি, পুর কর সংগ্রহ আশানুরূপ হচ্ছে না৷ আগের তুলনায় পুর কর সংগ্রহের বেড়েছে, তবুও এখনো অনেকে কর ফাঁকি দিচ্ছেন৷ তাতে, নিগমের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে৷
এ-বিষয়ে পুর কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পুর কর সংগ্রহে কারচুপি বন্ধে এখন প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হবে৷ জিআইএস ম্যাপিং-এর মাধ্যমে পুর এলাকায় প্রত্যেক সম্পত্তির হিসাব রাখা হবে৷ স্মার্টসিটির অন্তর্গত এই প্রকল্পের ওয়ার্কঅর্ডার দেওয়া হয়েছে একটি সংস্থাকে৷ তিনি জানান, দেড় বছরের মধ্যে জিআইএস পদ্ধতিতে সম্পত্তি চিহ্ণিতকরণ পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে৷ এ-ক্ষেত্রে সম্পত্তির পরিমাণ, ধরণ সমস্ত কিছু তথ্য থাকবে পুর নিগমের কাছে৷ তিনি বলেন, স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পুর এলাকায় সমস্ত সম্পত্তির রেকর্ড সংগ্রহ করা হবে৷ এর ভিত্তিতে পুরবাসী কর প্রদানের সময় প্রদত্ত তথ্যের সাথে ওই তথ্য মিলিয়ে দেখবে নিগম৷ তাতে গরমিল হলে জরিমানা দিতে হবে৷
পুর কমিশনার বলেন, আগের তুলনায় সম্পত্তি কর সংগ্রহ বেড়েছে৷ তবুও, আশানুরূপ অবস্থানে পৌঁছতে পারিনি আমরা৷ তিনি জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৪৪৩ কোটি টাকা সম্পত্তি কর সংগ্রহ হয়েছিল৷ তা বেড়ে ২০১৮-১৯ সালে হয়েছে ৬৫৫ কোটি টাকা৷ তাঁর কথায়, পুর নিগম এলাকায় নথিভুক্ত প্রায় ৯০ হাজার সম্পত্তি রয়েছে৷ তাঁদের সকলের কাছ থেকে সম্পত্তি কর সংগ্রহ করা যাচ্ছে না৷ তবে, প্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদেরকে কর প্রদানের তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে৷

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news