৫৩-য় পা ইসকনের

< 1 - মিনিট |

১৯৬৬ সালের ১৩ই জুলাই অর্থাৎ আজকের দিনেই নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসকন মন্দিরের। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যদেব প্রবর্তিত নাম সংকীর্তন আন্দলনের ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ স্বামী এ. সি ভক্তিবেদান্ত প্রভুপদ

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

ভারতবর্ষে নাম সংকীর্তন আন্দলনের জনক মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেব। ১৯৬৬ সালের ১৩ই জুলাই অর্থাৎ আজকের দিনেই নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসকন মন্দিরের। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যদেব প্রবর্তিত  নাম সংকীর্তন আন্দলনের  ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ স্বামী এ. সি  ভক্তিবেদান্ত প্রভুপদ। তিনিই এই সংস্থার আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে শুরু করেন  বিশ্বজুড়ে এই ভাবাদর্শের প্রসার।  মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য তাঁর গৌর বর্ণের জন্য গৌরাঙ্গ নামেও পরিচিত ছিলেন । তাঁর জন্মভূমি  মায়াপুরেই রয়েছে ইসকন মন্দিরের মুখ্য কার্য্যালয়। চৈতন্য দেব মানুষের অবয়বে সৃষ্ট শ্রীমতি রাধারানির  মেজাজে ভগবান কৃষ্ণের বিশেষ অবতার বলেও মেনে নেওয়া হয়।  

 স্বামী যেবার প্রথম বার আমেরিকা প্রদর্শন করেন তিনি নিউ ইয়র্কের টমকিন্স স্কোয়ার পার্ক নামক  এক বাগানের গাছের নিচে বসে শুরু করেন তাঁর এই রামনাম জপ।  মৃদঙ্গ বাজিয়ে তাঁর এই নাম সংকীর্তনে মুগ্ধ হয়ে  মেতে ওঠে বহুজন। এইভাবেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ভক্তের পরিমাণ।  আমাদের প্রাচীন যোগশাস্ত্রও  মানব জীবনে আধ্যাত্মিকতার বিকাশে সিদ্ধহস্ত। দেহ শরীর ও মনকে কৃষ্ণ চেতনায় নিবিষ্ট করতে প্রয়োজন দৈনন্দিন কৃষ্ণ নামের ধ্যান ও জপ করা। এই ভাবাদর্শের উৎপত্তি ৫০০০ বছরের পুরানো ভগবত গীতা থেকেই। ইসকন মন্দিরের মূল দর্শনে নিমজ্জিত রয়েছে ৩০ সংখ্যার শ্রীমদভাগবতগীতা  এবং ১৭ সংখ্যার চৈতন্য চরিতামৃতের সারমর্ম । 

১৯৭০ সালে, প্রভুপাদ তাঁর ওই  আন্দোলন পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন পরিচালনা বোর্ড কমিশন (জিবিসি)।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *