মাচিল সেক্টরে পাক সেনার গুলিতে মৃত ল্যান্সনায়েক রাজিন্দর সিং
কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি নিকেশ অভিযানে আবারও সাফল্য পেল সেনাবাহিনী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ(এসওজি)| রাতভর অভিযান শেষে দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার বোনাবাজার এলাকায় সুরক্ষা বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে দু’জন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) সন্ত্রাসবাদী| শোপিয়ান জেলার ঘটনা| জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত দু’জন সন্ত্রাসবাদী জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ কমান্ডার ছিল| এনকাউন্টারে খতম হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের শীর্ষ জেইএম কমান্ডার মুন্না লাহোরি ওরফে বিহারী এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী| এনকাউন্টারস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ| অন্যদিকে, সীমান্তরেখা বরাবর পাক সেনার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। পাক সেনার গুলিতে এক সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলেও খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
জানা গিয়েছে, শনিবার ভোররাতেই দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার বনবাজার এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ বাঁধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উক্ত এলাকায় অভিযান চালায় ভারতীয় সেনার ২৩ নম্বর প্যারা ব্যাটালিয়ন এবং এসওজি সোপিয়ান-এর যৌথ বাহিনী সেনা। অভিযানের সময়ই হঠাৎ সেনা জওয়ানদের লক্ষ করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পালটা দেয় নিরাপত্তারক্ষীরাও। শুরু হয় গুলির লড়াই। ভারতীয় সেনার গুলিতে মৃত দু’জন জঙ্গির দেহও উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার ভোরেই সীমান্ত এলাকা মাচিল সেক্টরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনা। সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে গুরুতর আহত হন ল্যান্সনায়েক রাজিন্দর সিং। সময় নষ্ট না করে আহত জওয়ানকে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সেনা সূত্রের খবর, মাচিল সেক্টরে সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করে পাক সেনা। পালটা দিতে থাকে ভারতীয় সেনাও। তখনই গুলি লাগে রাজিন্দর সিংয়ের।