উত্তর ত্রিপুরার কুর্তিতে বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানা উদ্ধার

< 1 - মিনিট |

বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

 বিরল প্রজাতির বেশ কয়টি বিড়ালছানা উদ্ধার হয়েছে অসমের সীমান্তবর্তী উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন কুর্তিতে। বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য তো বটেই, আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। অনেকে উদ্ধারকৃত বিড়াল ছানাগুলোকে বাঘের বাচ্চা বলে সন্দেহ করছেন। তাঁদের ধারণা, বাচ্চাগুলি এখানে থাকলেও তাদের বাঘিনী মা আশপাশ কোথাও রয়েছে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ছুটে এসে এগুলো বাঘের বাচ্চা নয় বললে, হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয় আতঙ্কিতরা।

জানা গেছে, কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর ওয়ার্ডের খেতে ধান কাটতে গিয়ে স্থানীয় কতিপয় যুবক চারটি বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানা দেখেন। তারা গ্রামে এই খবর ছড়িয়ে দেন। দাবানলের মতো খবরটি গোটা কুর্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। বিড়ালের বাচ্চাগুলো দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ ছুটতে থাকেন। কেউ কেউ বিরল প্রজাতির জংলি বিড়াল ছানা বলে মনে করলেও বেশিরভাগ নাগরিক এগুলো বাঘের বাচ্চা বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন।

খবর পৌঁছে স্থানীয় বন দফতরে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন চোরাইবাড়ি ফরেস্ট বিট অফিসার অমিয় সূত্রধর, পানিসাগর ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটের ইনচার্জ ফামকিমা ডার্লং-সহ অন্যরা। তাঁরা এসে এগুলোকে বাঘের বাচ্চা নয় বলে অভয় দেন স্থানীয়দের। এর পর ঘটনাস্থল থেকে চারটি বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানাকে উদ্ধার করে তাঁরা পানিসাগরে বন বিভাগের সদর দফতরে নিয়ে যান। বর্তমানে বিড়াল ছানাগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে বন দফতর সুত্রে জানা গেছে। এদিকে পানিসাগর ফরেস্ট প্রটেকশন ইউনিটের ইনচার্জ ফামকিমা ডার্লং জানান, বিরল প্রজাতির বিড়ালের ছানাগুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন তাঁরা। মূলত এগুলো জংলি বিড়াল। সচরাচর এগুলো জনপদে আসে না। তাই একটু ভিন্ন প্রজাতির দেখে স্থানীয়রা বিড়ালের ছানাগুলোকে বাঘের বাচ্চা বলে ধারণা করেছিলেন। আগামীকাল সোমবার এগুলোকে ফের পরীক্ষা করে পানিসাগরের রৌয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news