পা খুইয়েছেন অগ্নিদগ্ধ যুদ্ধবিমানের এক পাইলট, তেজপুর সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপরজনও

2 - মিনিট |

রাত তখন আট-সাড়ে আটটা। বিকট শব্দ শুনে গ্রামের মানুষজন ঘরের বাইরে এসে দেখেন ধানখেতে মুখ থুবড়ে পড়েছে যুদ্ধবিমান

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

 বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিদগ্ধ ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান সুখই এমকেআই ৩০-এর দুই স্কোয়াড্রন লিডারের একজন এখনও সংকটজনক। আহত দুই স্কোয়াড্রন লিডার তথা পাইলট আই মিশ্র এবং টি সান্ত্রার চিকিৎসা চলছে সেনা হাসপাতালে। জানা গেছে, তাঁদের একজনের একটি পা দু টুকরো হয়ে গেছে। ঘটনা শোণিতপুর জেলা সদর তেজপুর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মিলনপুর গ্রামে গতকাল রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ সংঘটিত হয়েছিল। 
খবরে প্রকাশ, প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতে শোণিতপুরের জেলা সদর তেজপুরের শালিনিবাড়ি সেনাঘাঁটি থেকে দুই পাইলট রুটিন মহড়ায় আকাশে উড়েছিলেন সুখই এমকেআই ৩০ যুদ্ধবিমান নিয়ে। বিমানটি আকাশে উড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান্ত্রিক গোলযোগে বিমানে আচমকা আগুন ধরে যায়। বুদ্ধিমত্তার জেরে দুই পাইলট ঘন জনবসতিপূর্ণ মিলনপুর গ্রামের মধ্যবর্তী ধানখেতে জরুরি অবতরণ করে প্যারাস্যুট নিয়ে ঝাঁপান। ঘটনা বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ সংঘটিত হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ বিমানটি বিকট শব্দ করে খেতে গিয়ে আছড়ে পড়ে। কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ চারটি ইঞ্জিন নিয়ে ছুটে যায় সেনাবাহিনীর দল। জলে-কাদায় পরিপূর্ণ খেতের দূর থেকে হিউজ পাইপ দিয়ে জল ছুঁড়ে বিমানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের চেষ্টা বিফল করে বিমানটি পুরোপুরি ভস্ম হয়ে যায়। 


এদিকে, সেনাবাহিনীর আরেক দল অগ্নিদগ্ধ বিমানের দু পাশ থেকে দুই স্কোয়াড্রন লিডার আই মিশ্র এবং টি সান্ত্রাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। তাঁদের একজনের পা নাকি দু টুকরো হয়ে গেছে। তবে এ খবরের সত্যতা এখনও সরকারিভাবে জানা যায়নি। সূত্রের খবর, তাঁদের দুজনের সংকট এখনও কাটেনি।
অন্যদিকে গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন, রাত তখন আট-সাড়ে আটটা। বিকট শব্দ শুনে তাঁরা ঘরের বাইরে এসে দেখেন ধানখেতে মুখ থুবড়ে পড়েছে যুদ্ধবিমান। বিমানটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। তাঁদের কেউ কেউ বলেছেন, ভূতলের সামান্য ওপরে থাকায় তাঁদের প্যারাস্যুটগুলো যথাযথভাবে না খোলায় মাটিতে আছড়ে পড়ে আহত হয়েছেন দুই পাইলট। তবে দুই পাইলটের বিচক্ষণতায় গোটা মিলনপুর গ্রাম রক্ষা পেয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত যদি গ্রামে এই অগ্নিদগ্ধ বিমানটি পড়ত, তা-হলে বাড়িঘর-তো পুড়তোই, মানুষও মারা যেতেন, বলেন গ্রামের মানুষজন। 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news