অসম সরকারের অরুন্ধতী স্বর্ণপ্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন থেকে বিয়ের পাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার জমা করবে নগদ ৩০ হাজার টাকা।
অসম সরকারের অরুন্ধতী স্বর্ণপ্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন থেকে বিয়ের পাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার জমা করবে নগদ ৩০ হাজার টাকা। ঘোষণা করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। বুধবার দিশপুরে জনতা ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অরুন্ধতী স্বর্ণপ্রকল্পের তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রী ড. শর্মা। মূলত রাজ্যে বাল্যবিবাহ রোধ করার উদ্দেশ্যে অসম সরকার গ্ৰহণ করেছিল এক বিশেষ প্রকল্প। নাম দেওয়া হয়েছিল অরুন্ধতী স্বর্ণপ্রকল্প। সরকার ঘোষণা করেছিল, এই প্রকল্পের অধীনে বিবাহের উপযুক্ত প্ৰত্যেক মেয়েকে দেওয়া হবে এক তোলা করে সোনা।
অরুন্ধতী স্বর্ণপ্রকল্পটি ক্যাবিনেটে অনুমোদিত হওয়ার পর এ সম্পর্কে তথ্য দিতে আজ জনতা ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা। প্রকল্পটির সুবিধা লাভ করতে হলে কী কী নিয়ম পালন করতে হবে তা জানিয়েছেন মন্ত্রী। জানান, সোনা পেতে হলে পাত্র ও পাত্রীর বয়স হতে হবে যথাক্রমে ২১ এবং ১৮। তাছাড়া বিয়ের রেজিস্ট্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের অংশীদার হতে হলে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৯৫৪-এর অধীনে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের চারদিনের মধ্যে কনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে সোনা কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা। তবে এক্ষেত্রে আরও এক নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব আরও জানান, সরকারি এই সুবিধা লাভ করতে হলে বর-কনেকে অবশ্যই মাধ্যমিক উত্তীৰ্ণ হতে হবে। অবশ্য চা জনজাতি এবং আদিবাসীদের ক্ষেত্রে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত হয়নি বলে জানান তিনি। এছাড়া সুবিধাপ্রাপকের অভিভাবক অথবা নিজের বছরে উপার্জন হতে হবে ৫ লক্ষ টাকার নীচে, তবেই স্বর্ণপ্রকল্পের সুবিধা লাভ করবেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বলবৎ হবে এই প্রকল্প জানান তিনি। মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকরা সংশ্লিষ্ট এলাকার সার্কল অফিসারের কার্যালয়ে revenueassam.nic.in-এ অনলাইন যোগেও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া ২০১৯-এর ডিসেম্বরে সামাজিকভাবে বিয়ে যাঁরা করেছেন তাঁরাও নির্দিষ্ট নিয়মাবলির বলে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি রেজিস্ট্রেশন করলে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। মন্ত্রী আরও জানান, সোনার দাম যদি বাড়ে, তবু অরুন্ধতী প্রকল্পের টাকার পরিমাণ বাড়ানো হবে না। কেননা, এই প্রকল্পের জন্য সরকার বছরে ৮০০ কোটি টাকা ধার্য করে রেখেছে।