সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হল বিসিসিআইয়ের ৮৮তম বার্ষিক সভা। এদিনের বৈঠকে প্রত্যাশিতভাবেই কুলিং অফ পিরিয়ড সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বিসিসিআইয়ের সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব গৃহীত। রবিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হল বিসিসিআইয়ের ৮৮তম বার্ষিক সভা। এদিনের বৈঠকে প্রত্যাশিতভাবেই কুলিং অফ পিরিয়ড সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বোর্ডের সদস্যরা সেই প্রস্তাবে সিলমোহরও দিয়ে দেন। এবার এই প্রস্তাব যাবে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত বোর্ডের প্রস্তাব মেনে নিলে ১১ মাস নয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রশাসনিক ক্ষমতায় থেকে যেতে পারেন সৌরভ। অর্থাৎ সুপ্রিম নির্দেশে কুলিং অফ পিরিয়ডে বড়সড় বদল আসতে পারে বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল।
এদিন মুম্বইয়ে বিসিসিআইয়ের সদর দফতরে বৈঠকে বসে কমিটি। উপস্থিত ছিলেন সব সদস্যরা। সেখানেই নতুন কমিটির সব প্রস্তাব রাখা হয়। সেইসব প্রস্তাবে সম্মতি জানান বোর্ডের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য। এইসব প্রস্তাব পাশ হয়ে যাওয়ার পরে এবার বোর্ডের সংবিধানে পরিবর্তনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবেন সৌরভরা। জানা গিয়েছে শিগগির সেই আবেদন করা হবে। মনে করা হচ্ছে এই পরিবর্তনে না করবে না দেশের শীর্ষ আদালতও।
তিন বছর পর বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নিয়েছে সৌরভের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এর আগে এতদিন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের হাতে। দেশের শীর্ষ আদালত একটি প্রশাসনিক কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। আর এ সবই হয়েছিল লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় বা রাজ্য ক্রিকেট প্রশাসনে ছ’বছর যুক্ত থাকার পর তিন বছরের জন্য কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। এই সুপারিশ অনুযায়ী সৌরভদের হাতে মাত্র ১১ মাস সময় ছিল। কারণ এর আগে পাঁচ বছর বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
এদিন বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, প্রশাসনের সঙ্গে ছ’বছর যুক্ত থাকার বদলে জাতীয় ও রাজ্য প্রশাসনে আলাদাভাবে ছ’বছর করে যুক্ত থাকার পরেই কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে কাউকে। এই প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। কারণ সদস্যদের বক্তব্য, ১১ মাস সময়ের মধ্যে কারও পক্ষে ঠিকমতো সব কিছু গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ন্যূনতম তিন বছর সময় পাওয়া উচিত।
এছাড়াও বোর্ড থেকে আইসিসির বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করা, উপদেষ্টা কমিটি ফিরিয়ে আনা, স্বার্থের সংঘাত, সর্বোপরি বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা নিয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। সবই পাশ হয়েছে। এখন এইসব প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন মিললেই নতুন সংবিধান তৈরি হবে বোর্ডের। ফলে অন্তত তিন বছরের জন্য বিসিসিআইয়ের মসনদে দেখা যাবে সৌরভকে।