প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়াতেই এই উদ্যোগ। সুন্দরবন এলাকায় এই প্রকল্প খুব সাফল্য পেয়েছে বলেই দাবি সরকারের
গর্ভবতীদের প্রতীক্ষাঘর’ প্রকল্পে দেশের ‘সেরা’ হিসেবে স্কচ পুরস্কার পেল বাংলা। ‘ওয়েটিং হাটস ফর প্রেগন্যান্ট ওমেন’ পেল স্কচ অ্যাওয়ার্ড ৷ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রকল্প এটি৷ কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলার পর এবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের কাজও পুরস্কৃত হতে চলেছে । বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে নবান্নে এই মর্মে খবর পৌঁছেছে যে রাজ্যের প্রসূতিদের জন্য তৈরি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের এই পরিষেবা, ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হচ্ছে । শুক্রবার তা ফেসবুকের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে । দিল্লিতে রাজ্যকে বৃহস্পতিবারই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নিজের মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার হ্যান্ডেলে এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আজ আমি খুব খুশি এবং এটা জানাতে আমার গর্ববোধ হচ্ছে যে গর্ভবতীদের প্রতীক্ষালয় প্রকল্পে সরকারি পরিষেবা প্রদানে গোল্ড ক্যাটাগরিতে সেরা হিসেবে স্কচ পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতর ও তার সবস্তরের আধিকারিকদের অনেক শুভেচ্ছা।”
এই ধরণের স্কচ পুরস্কার যে রাজ্য আগেও পেয়েছে তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “উৎকর্ষ বাংলা-সহ একাধিক প্রকল্পে বাংলা এই পুরস্কার পেয়েছে। দেশের মধ্যে এখনও সব থেকে বেশি স্কচ পুরস্কার বাংলায় অর্জন করেছে।” মূলত, প্রান্তিক এলাকার মানুষের জন্যই এই প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়াতেই এই উদ্যোগ। সুন্দরবন এলাকায় এই প্রকল্প খুব সাফল্য পেয়েছে বলেই দাবি সরকারের। সেখানে প্রসবের আগে থেকে গর্ভবতীকে নিয়ে এসে আগে থেকেই বিনামূল্যে সব চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়।