নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই বৈঠকে তিন হাজারেরও বেশি পুজো কমিটির অংশগ্রহণ করার কথা। সূত্রের খবর বৈঠকে পুজো কমিটিগুলোকে সবুজ বাঁচান, পরিবেশ বাঁচান প্রভৃতির পাশাপাশি জলের অপচয় বন্ধ করা নিয়েও বার্তা দিতে আবেদন জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
উৎসবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে তা ঠিক করতে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো ও মহরম উপলক্ষে এই বৈঠক। আগামী শনিবার কলকাতার সমস্ত পুজো কমিটির কর্তাদের ওই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন লালবাজারের পুলিশকর্তারাও।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই বৈঠকে তিন হাজারেরও বেশি পুজো কমিটির অংশগ্রহণ করার কথা। সূত্রের খবর বৈঠকে পুজো কমিটিগুলোকে সবুজ বাঁচান, পরিবেশ বাঁচান প্রভৃতির পাশাপাশি জলের অপচয় বন্ধ করা নিয়েও বার্তা দিতে আবেদন জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে জনসংযোগে ব্রতী হতে বলেছেন দলীয় সাংসদদের। একই নির্দেশ বিজেপি নেতাদেরও।
অন্যদিকে, তৃণমূল চায় না কোনওভাবে কোনও পুজোর রাশ বিজেপি-র হাতে যাক। দু-একটি পুজো কমিটি আগ্রহী হলেও বিজেপি-র সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রকাশ্য সমঝোতায় যাওয়ার ঝুঁকি নিতে পারছে না কেউ। কারণ, পুজোমণ্ডপের জন্য পুলিশ, দমকল প্রভৃতির যে অনুমতি নিতে হয়, তার প্রায় সবটাই আনা রাজ্যের হাতে। এর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার নামী পুজো ‘সঙ্ঘশ্রী’ বিজেপি-র শিবিরের দিকে ঝুঁকতেই তাদের তৃণমূল আটকে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, পুজোর পাশাপাশি মহরম ঘিরেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে প্রশাসনকে। কারণ সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে সে দিকে কড়া নজর রাখতে চায় প্রশাসনের কর্তারা। এবারের পুজো শুধু উৎসব নয়, রাজনীতির রঙেরও ছোঁয়া তাতে পাওয়া যেতে পারে। তাই শনিবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ কোনও নির্দেশ দেন কিনা সেদিকে তাকিয়ে সকলেই।