বিশ্ব গণ্ডার দিবসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

< 1 - মিনিট |

টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আজ বিশ্ব গণ্ডার দিবস । সাম্প্রতিক শুমারিতে দেখা গেছে বাংলার দুই জাতীয় অভয়ারণ্য, গরুমারা আর জলদাপাড়াতে গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ”

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

আজ ২২ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব গণ্ডার দিবস | এই বিশেষ দিনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে, দুই জাতীয় অভয়ারণ্য গরুমারা ও জলদাপাড়ায় গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | রবিবার টুইটের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর কাছে এই বার্তা পাঠান  মুখ্যমন্ত্রী |

এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আজ বিশ্ব গণ্ডার দিবস । সাম্প্রতিক শুমারিতে দেখা গেছে বাংলার দুই জাতীয় অভয়ারণ্য, গরুমারা আর জলদাপাড়াতে গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে |” ১৯৭৬ সালে গরুমারা অভয়ারণ্য ‘জাতীয় উদ্যানের’ মর্যাদা পায় । ভারতীয় গন্ডারের প্রজননের উপর ভিত্তি করে ১৯৪৯ সালে উদ্যানটি একটি বন্যপ্রাণীর সংরক্ষিত আবাসস্থল হিসাবে ঘোষিত হয় ৷ জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের মুখ্য আকর্ষণ এশীয় একশৃঙ্গ গন্ডার । অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পর ভারতে এই অভয়ারণ্যেই সর্বাধিক সংখ্যক গন্ডারের দেখা মেলে । প্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৪১ সালে জলদাপাড়া একটি অভয়ারণ্য ঘোষিত হয় । ১০ মে, ২০১২ তারিখে জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যকে “জাতীয় উদ্যান” ঘোষণা করা হয় ।

গণ্ডারকে ইংরেজিতে বলা হয় রাইনো বা রাইনোসরাস। এটি রাইনোসেরোটিডি প্রজাতির অন্তর্গত স্তন্যপায়ী প্রানী। এদের মোট পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে যার মধ্যে চারটিই বিলুপ্তির সন্মুখীন। যে পাঁচ ধরনের গণ্ডার আগে দেখা যেত সেগুলি হল ভারতীয় গণ্ডার,  জাভাদেশীয় গণ্ডার, সুমাত্রার গণ্ডার, সাদা গণ্ডার, কালো গণ্ডার। কিন্তু চোরা শিকারিদের বাড়বাড়ন্তে বর্তমানে মোটামুটি দুই প্রজাতির গণ্ডার এখন দেখা যায়। সেই বিপন্ন প্রাণী গণ্ডারকে রক্ষা করতে ২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের পক্ষ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর দিনটিকে “বিশ্ব গণ্ডার দিবস” হিসাবে ধার্য করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন থিমে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়ে আসছে “বিশ্ব গণ্ডার দিবস” বা “ওয়ার্ল্ড রাইনো ডে”।

Join the Conversation

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news