৩৭০ ধারা বিলোপ: সমর্থন আর সমালোচনায় উত্তাল দেশের রাজনৈতিক মহল

2 - মিনিট |

চন্দ্রবাবু সমর্থন করলেও জেডিইউ-এর মতো বিজেপি সহযোগী দলের নেতাদের কাছ থেকে কিছুটা বিরূপ সুরই শোনা গিয়েছে

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব পেশ করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পিডিপি নেতা মীর মহম্মদ ফৈয়াজ। ক্ষিপ্ত হয়ে সংবিধানের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। এরপরেই অবশ্য তাঁকে সংসদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। রাগে নিজের কুর্তাও ছিঁড়ে ফেলেন ফৈয়াজ। প্রতিবাদী পিডিপির অপর সাংসদ নাজির আহমেদকেও বহিষ্কার করা হয়। অবশ্য এই দুই সাংসদই নন, বিরোধিতা শুরু করে দেয় অন্যান্য সরকার বিরোধী দলগুলিও। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রস সহ জম্মু ও কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ, ওমর আবদুল্লা ও মেহেবুবা মুফতি তীব্র ভাষায় বিরোধিতা করেছেন এই রায়ের।   

যদিও বিজেপি ও এনডিও অর্ন্তভুক্ত দলগুলির নেতারা ৩৭০ নং ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করে রীতিমতো উল্লসিত। রীতিমতো ঐতিহাসিক দিন ও সাহসী সিদ্ধান্ত হিসাবে এই রায়কে উল্লেখ করেন বিজেপি সহযোগী দলগুলির শীর্ষ নেতারা। তবে জেডিইউ-এর মতো বিজেপি সহযোগী দলের নেতাদের কাছ থেকে কিছুটা বিরূপ সুরই শোনা গিয়েছে।

Photo Source – Web

একনজরে

অমিত শাহ: এতদিন পর্যন্ত কাশ্মীরের ৩টি পরিবার সমস্ত সুবিধা ভোগ করেছে। ৩৭০ ধারা কাশ্মীরকে দেশের সঙ্গে এক হতে দেয়নি।

ওমর আবদুল্লা: জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অসংবিধানিক। কোনও রকম আলোচনার রাস্তায় না গিয়ে একতরফা নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক ছাড়া আর কিছুই নয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছিল গোট রাজ্যে। বিশেষত কাশ্মীরে সেনা পাঠিয়ে গণতন্ত্রের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যে অন্ধকার দিকটা নিয়ে আমরা সকলেই ভয় পেয়েছিলাম, সেটাই সত্যি হলো। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। আমরা সকলেই প্রস্তুত।

মেহবুবা মুফতি: ভারতের গণতন্ত্রে কালো দিন, বিজেপির বেআইনি ও অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত।

গুলাম নবি আজাদ: এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানকে খুন করল। একই সঙ্গে হত্যা করা হল ভারতের গণতন্ত্রকেও।

পি চিদাম্বরম: দেশের ইতিহাসে কালো দিন, এর মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা বিনষ্ট হওয়ার সূচনা হল।

সুষমা স্বরাজ: সাহসী ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।

অরুণ জেটলি: ঐতিহাসিক ভুল সংশোধন করা হল।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল: আশা করছি কাশ্মীরে শান্তি ফিরবে।

কেসি ত্যাগী: জয়প্রকাশ নারায়ণ ও রামমনোহর লোহিয়ার ঐতিহ্য বহন করছেন নীতীশ কুমার। ৩৭০ ধারা বাতিল সমর্থন করে না জেডিইউ।

রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর: ঐতিহাসিক ভুল শোধরাল মোদী সরকার।

রামচন্দ্র গুহ (ইতিহাসবিদ): ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের মতো কাজ করলেন রামনাথ কোবিন্দ।

ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং: এরকম একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কোনওরকম আলাপ আলোচনা ছাড়াই নেওয়া উচিত হয়নি।

প্রসন্ন আচার্য (বিজেডি সাংসদ): জম্মু-কাশ্মীর আজ সত্যিই ভারতের অংশ হল।

বিজয়সাই রেড্ডি (ওয়াইএসআর কংগ্রেস সাংসদ): কীভাবে দেশে দু’জন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন?

এন চন্দ্রবাবু নাইডু: আমাদের দল কেন্দ্রের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে। আমি জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

এ নবনীতাকৃষ্ণণ (এডিএমকে সাংসদ): ৩৭০ ধারা বিলোপে আমার সমর্থন রয়েছে।

পদক্ষেপ

কেন্দ্র সরকার ডাকতে পারে সর্বদলীয় বৈঠক।

স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লি জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি।

উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা ও অসম থেকে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন।

জম্মু-কাশ্মীরে আরও ৮ হাজার আধাসেনা মোতায়েন।

৩৭০ ধারা রদকে সমর্থন বিএসপির।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news