প্রস্তাবিত উড়ালসেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৩৫.৮২০ কিলোমিটার এবং প্ৰস্থ ১১ মিটার। এর জন্য ব্যয় ধার্য হয়েছে ২,৬২৫ কোটি টাকা
পশুসম্পদের প্রাণ রক্ষা করতে কাজিরঙার জাতীয় উদ্যানের অ্যানিমেল করিডোরে এবার নির্মাণ হবে দীর্ঘ উড়ালসেতু। উদ্যানের বুক চিড়ে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তৈরি হবে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু। এই খবর দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য।
মন্ত্রী পরিমল জানান, গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর দিশপুরে মুখ্যমন্ত্ৰীর কাৰ্যালয়ে অনুষ্ঠিত রাজ্য বন্যপ্ৰাণী পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পর এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর মারেন মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল। পরিমল শুক্লবৈদ্য জানান, মুখ্যমন্ত্ৰীর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তিনি নিজে, মৃণাল শইকিয়া-সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক ও বন্যপ্ৰাণী পরিষদের সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিস্তৃত তথ্য দিয়ে তিনি জানান, প্রস্তাবিত উড়ালসেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৩৫.৮২০ কিলোমিটার এবং প্ৰস্থ ১১ মিটার। এর জন্য ব্যয় ধার্য হয়েছে ২,৬২৫ কোটি টাকা।
মন্ত্রী জানান, বন্যপ্ৰাণী পরিষদের এই বৈঠকে মুম্বাই-ভিত্তিক ওয়াডিয়া টেকনো ইঞ্জিনিয়ারিং সাৰ্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে অ্যানিমেল করিডরে প্রস্তাবিত উড়ালসেতু নির্মাণের ডিপিআর প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে ডিপিআর সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এক জিজ্ঞাসার উত্তরে মন্ত্রী জানান, ডিপিআর প্রস্তুতের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ৩.৭৬ কোটি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। আগামী ২০২০ সালের প্ৰথম দিকে সেতুর নিৰ্মাণকার্য শুরু হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য।