আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ১৫০ টি ই-বাস রাস্তায় নামবে। তার মধ্যে আসানসোলে ২৫ টি, শিলিগুড়িতে ২৫ টি, রাজারহাট-নিউটাউনে ৫০ টি এবং হলদিয়ার বিভিন্ন রুটে ৫০ টি বাস চলবে
‘দূষণ রোধে ই-বাহনের উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এই কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার রাস্তায় আরও ২০ টি ইলেকট্রিক বাস (ই-বাস) নামাচ্ছে কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। শহরের বিভিন্ন রুটে চলবে ওই বাসগুলি। এ ছাড়াও রাজ্যের চারটি শহরে চলবে এই ই-বাস।
রাজ্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, জাতীয় পরিবেশ আদালতের রিপোর্টে সারা দেশের ১০২টি শহরে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে আসানসোল, রাণিগঞ্জ, দুর্গাপুর, বারাকপুর, হাওড়া ও হলদিয়ার নাম। মাস ছয়ের মধ্যে ওই সব শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা তৈরি হবে। শুভেন্দুবাবু জানান, এই সব শহরেই পর্যায়ক্রমে ই বাস নামানোর পরিকল্পনা আছে। এই উপলক্ষে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ফলে রাস্তায় আরও বেশি পরিমান পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক বাস (ই-বাস), সিএনজি চালিত বাস ও ই-রিকশা যাতে চলে তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাসগুলির দৈর্ঘ্য ১২ মিটার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও ১৫০ টি ই-বাস রাস্তায় নামবে। তার মধ্যে আসানসোলে ২৫ টি, শিলিগুড়িতে ২৫ টি, রাজারহাট-নিউটাউনে ৫০ টি এবং হলদিয়ার বিভিন্ন রুটে ৫০ টি বাস চলবে।’
মাঝপথে যাতে চার্জিংয়ের অভাবে ই-বাস থমকে না যায়, তার জন্য বৃহত্তর কলকাতায় ৫৫ টি চার্জিং স্টেশন বসানো হয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ওই চার্জিং স্টেশনে সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাস এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গাড়িরও চার্জিংয়ের সুযোগ থাকবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের খরচটুকু বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিকদের।’
পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই ‘সেভ ড্রাইভ, সেফ লাইফ’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সারা দেশেই প্রশংসা কুড়িয়েছে ওই কর্মসূচি। কিন্তু ‘সেভ ড্রাইভ, সেফ লাইফ’ কর্মসূচি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যধিক বাড়াবাড়ির অভিযোগে সরব হয়েছেন গাড়ির চালক থেকে শুরু করে মালিকরা। সেই ক্ষোভ প্রশমনে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের জন্য কিংবা মানুষকে হয়রানির জন্য এই কর্মসূচি চালু করা হয়নি। বরং মানুষকে সচেতন করতেই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।’ ইতিমধ্যে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত বেশ কয়েকজনের পরিজনদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন পরিবহণ মন্ত্রী। এতদিন দুর্ঘটনায় মারা গেলে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেত। রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের অঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করেছে।