সমস্যার স্থায়ী সমাধান সূত্র বের করতে ভুক্তভোগীরা জেলাশাসক আনবামুথান এমপি, ডিএফও এমএন ডেকা, সর্বোপরি বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ফি বছরের মতো এবারও বুনো হাতির দল করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকায় ব্যাপক উপদ্রব চালিয়েছে। দামালের দল এবার কেবল খেতে সোনালি ধান সাবাড় করেই ক্ষান্ত নেই, হামলা চালিয়েছে মন্দিরেও। প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, পাঁচটি বুনো হাতির এক দল হাতিখিরা চা বাগানের সাত নম্বর লাইনে বহু পুরনো শিবমন্দিরে হানা দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। নাটমন্দিরের দুটি পাকা খুঁটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে দামলরা। ঘটনার সময় মন্দিরের সেবাইত পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন।
গত মাসাধিককাল ধরে পাথারকান্দির লোয়াইরপোয়া ব্লকের হাতিখিরা বাগান এলাকায় অবস্থান করেছে পাঁচটি মহিলা বুনো হাতিরদল। এরা বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিদের খেতে পড়ে পাকা ধান খেষ়ে তছনছ করে দিচ্ছে। হাতির উপদ্রবে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকায়। উদ্ভূত সমস্যার স্থায়ী সমাধান সূত্র বের করতে ভুক্তভোগীরা জেলাশাসক আনবামুথান এমপি, ডিএফও এমএন ডেকা, সর্বোপরি বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঁচটি মহিলা বুনো হাতি দল বেঁধে এলাকার অসম-ত্রিপুরা ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ডেঙ্গারবন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত (জিপি) লাগোয়া হাতিখরার পাঁচ, সাত, আট, আঠান্ন, চৈলতাগুল প্রভৃতি গ্রামের চাষিদের উৎপাদিত সোনার ফসল পাকা ধানে হানা দিয়ে তছনছ করে দিচ্ছে। একে বাগানে গত দেড়মাস ধরে চলছে লকআউট। তার ওপর মাঠের ধানও উধাও হয়ে যাওয়ায় চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, গত কয়ে়কদিনে এলাকার প্রায় ৩০ বিঘা খেতের পাকা ধান বুনো হাতি তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে। বিষয় সম্পর্কে পাথারকান্দি রেঞ্জ ফরেস্ট দফতর অবশ্য নেই। বুনো হাতির ভয়ে এলাকার জনগণ নিজেদের জানমাল রক্ষা করতে টিন বাজিয়ে, আগুনের মশাল জ্বালিয়ে, বাজি-পটকা পুড়িয়ে রাত জেগে প্রহরা দিচ্ছেন। এমন-কি অনেকে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানান তাঁরা।