হড়কা বান, ডিমা হাসাওয়ে ভেসে গেছে একটি ডাম্পার-সহ চারটি ট্রাক, ভেঙে চৌচির মহাসড়ক

2 - মিনিট |

কপিলি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় লঙ্কা ও হোজাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

টানা বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা হড়কা বানের জলে ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে মহাসড়ক। গত দুদিনের ধারা বৃষ্টির ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা তীব্র বেগে জলের স্রোতে লাংটিং ও হাতিখালির মধ্যে মহাসড়কের প্রায় ২০০ মিটার অংশ ধসে গেছে। এদিকে উমরাংসো থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী উমরাংসো-লংঙ্কা সড়কপথের লাংকু সেতু ভেঙে পড়ায় একটি ডাম্পার জলের মধ্যে আটকে পড়ার পাশাপাশি হারাঙ্গাজাও-ডিটেকছড়ার মধ্যবর্তী জাটিঙ্গা নদীতে হড়কা বানের কবলে পড়ে তিনটি পাথরবাহী ট্রাক ভেসে গেছে। তবে এ সব ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সৌভাগ্যক্রমে ডাম্পার ও তিন ট্রাকের চালক ও খালাসিরা দু্ঘটনা থেকে সুরক্ষিতভাবে রক্ষা পেয়েছেন। 

গত দুদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল ডিমা হাসাও, পার্শ্ববর্তী কারবি আংলং-সহ গোটা রাজ্যে। এর ফলে কপিলি নদীর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় উমরাংসোর লাংকু সেতু ভেঙে পড়ে। যার জন্য উমরাংসোর সঙ্গে গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের অনান্য অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া কপিলি নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় লঙ্কা ও হোজাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে।

এদিকে হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জাটিঙ্গার কাছে পাহাড় থেকে তীব্রগতিতে নেমে আসা প্রচণ্ড জলের স্রোতে একটি তিনটি ট্রাক ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও অংশে তিনটি স্থানে পাহাড়ি নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। এমন-কি জলের স্রোতে সড়কের বহু অংশ ভেঙে নিয়ে যাওয়ায় আজ দ্বিতীয় দিনও হাফলং-শিলচর ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল হয়নি।  সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাংটিং ও হাতিখালির মধ্যবর্তী মহাসড়কের ২০০ মিটার অংশ। জলের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে মহাসড়কের দীর্ঘ অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ধারা বৃষ্টির ফলে ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন স্থানে ধস নেমে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে খবরে প্রকাশ। হাফলং-কানাইবস্তি এলাকায় পাহাড়-সহ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় রাস্তায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি কানাইবস্তি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যদিকে হাফলং ফিশারি কলোনির পাশে ধস নেমে বৃহৎ গার্ড ওয়াল ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া মাইবাং এলাকায় কৃত্রিম বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। লাংটিং-হাতিখালিতে নদীর জল বেড়ে যাওয়ার দরুন বহু এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার কবলে পড়ে লাংটিং ও হাতিখালি রেল স্টেশনে দুর্গত অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news