পুরসভার উদ্যোগেই আদিগঙ্গা সেজে উঠবে টেমসের আদলে

2 - মিনিট |

আদিগঙ্গার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে গঙ্গা পাড়ের সৌন্দর্য করা হবে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

এবার আদিগঙ্গার দুই তীরকে টেমসের আদলে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা | পুজোর পরেই হাত দেওয়া হবে কাজে | আদিগঙ্গার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে গঙ্গা পাড়ের সৌন্দর্য করা হবে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম |

 অতীতে কালীঘাটে কেউ পুজো দিতে গেলে শুদ্ধ হয়ে নিত এই আদিগঙ্গার জলে স্নান করে | কিন্তু বর্তমানে জলের যা অবস্থা তাতে করে জল পরিশুদ্ধ করা ছাড়া কোনও উপায় নেই | যদিও সেই কাজ শুরু করেছে পুরসভা | সেই কারণেই কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আদিগঙ্গায় জবরদখল রুখে ছয় ফুট উঁচু বিশেষ ডিজাইনের লোহার ফেন্সিং তৈরি ও সৌন্দার্যায়নের সম্পূর্ণ টাকাই পুরসভা নিজের তহবিল থেকে দেবে । পাশাপাশি টালি নালার সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করতে চাইছে পুরসভা ।

পুরসভা সূত্রে খবর, প্লাস্টিক ও ভাসমান জঞ্জাল আটকে যাতে আবার জল দুষিত না হয় সেই কারনে ফাইবারের নেট বসছে । নিরাপত্তা ও সুরক্ষার লক্ষ্যে কালীঘাট ব্রিজের কাছে টালি নালার একদিকে প্রায় দেড়শো মিটার দীর্ঘ বুলেটপ্রুফ লোহার পাতলা নেটও বসানো হচ্ছে । এই প্রসঙ্গে দেবব্রত মজুমদার বলেন, “জঞ্জাল আটকাতে গঙ্গার মাঝে মাঝে ফাইবারের নেট থাকছে । পুজোর সামগ্রীর পাশাপাশি দু’পাশের নানা গাছের পাতাও ভেসে আসে । টালি নালার উপরে যে সমস্ত ব্রিজ আছে, সেখানে দাঁড়িয়েও অনেকে কাগজ ও নোংরা ফেলেন । তাও পুরসভা তুলে ফেলছে |” 

গঙ্গাকে প্লাস্টিক ও জঞ্জালমুক্ত করার পাশাপাশি খাটাল-সহ যাবতীয় জবরদখল উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত| সেই নির্দেশের জেরে সৌন্দর্যায়ন ও টালি নালায় ফেন্সিং শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। তাঁর কথায়, “মহানগরের নোংরা ও দূষিত জল যাতে আদিগঙ্গায় না পড়ে সেজন্য ব্রিজি, কুঁদঘাট লাগোয়া ওয়্যারলেস মাঠ এবং গলফ ক্লাবে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নালা দিয়ে আসা নোংরা জল পরিশোধনের পর তবেই টালি নালায় পড়বে।” মিলেনিয়াম পার্কের চেয়েও অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে আদিগঙ্গার তীরে প্রস্তাবিত পরিবেশ বান্ধব বিনোদন পার্ক। এমনটাই দাবি করেন কঠিন বর্জ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ|

পাশাপাশি তিনি দাবি করে জানান, নাগরিকরা সচেতন হলে বছর দুয়েকের মধ্যে আদিগঙ্গাকে ৮০ শতাংশের বেশি দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news