ভারত তার জ্বালানি প্রয়োজনীয়তার জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীল। ওই অঞ্চলে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার কারণে তেল সরবরাহ যাতে প্রভাবিত না হয় সে বিষয়ে ভারত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে
নিজেদের তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজগুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভারত। ভ্লাদিভোস্টকের প্লেনরি সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
এদিন তিনি বলেন যে উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজগুলিকে সুরক্ষার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর উদ্দেশ্য কোনও দেশকে টার্গেট করা নয়। ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের প্রসঙ্গে মোদীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ভারত উপসাগরীয় অঞ্চলের হার্মোস স্ট্রেইটে তার যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ করবে কিনা।
মোদি বলেছিলেন যে ভারত তার জ্বালানি প্রয়োজনীয়তার জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীল। ওই অঞ্চলে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার কারণে তেল সরবরাহ যাতে প্রভাবিত না হয় সে বিষয়ে ভারত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভারত কেবল তার তেলবাহী ট্যাঙ্কারদের রক্ষা করছে। এর উদ্দেশ্য কাউকে টার্গেট করা বা কোনও দেশের উপর হস্তক্ষেপ করা নয়।
এদিন মোদি আরও বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধীনে শান্তি সেনায় কাজ করার ক্ষেত্রে ভারত বরাবরই অভ্যস্ত ছিল। তিনি এই পদ্ধতির বাইরে সামরিক পদক্ষেপে বিশ্বাসী নন। হাজার বছরের ইতিহাসে ভারত কখনই কোনও দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে ভারতের দেড় লক্ষ সৈন্য প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মত্যাগ করেছে। এই বিশ্বযুদ্ধগুলির ভারতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না, তবে মানবতার স্বার্থে ভারতের সৈন্যরা এই আত্মত্যাগ করেছিল।
লক্ষণীয় যে ইরান ও ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে উপসাগরীয় অঞ্চলের সুরক্ষা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমী দেশগুলির যুদ্ধজাহাজের কেন্দ্রবিন্দু এবং তেলের ট্যাঙ্কারগুলিতে হামলার বহু ঘটনা ঘটেছে।