যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হতে চলেছে কৃত্রিম অভ্যারণ্য
গাছ আমাদের বন্ধু। সেই গাছই এখন বেআইনি ভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে। গাছ সংরক্ষণের উদ্যোগে এবার এগিয়ে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গাছ গোনা শুরু করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দু’টি ক্যাম্পাসেই গাছেদের অডিট করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে কত গাছ আছে, তা চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এস্টেট অফিসকে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন আশিস মজুমদার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এস্টেট অফিসকে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে ছোট বড় সব ধরনের গাছের সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য। কোথায় কোন গাছ রয়েছে, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি বিশেষ রং করা এবং নম্বর দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে । অনেকটা পরিকল্পিত অভয়ারণ্যের মধ্যে যেমনটা করা হয়, সেই ধাঁচেই সেঁজে উঠতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার জানিয়েছেন, বনদফতরের সহায়তা নিয়েই গাছগুলোর নাম, পরিচয়, বয়স ঠিক করা হবে।
ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে গাছ রক্ষার বিষয়ে বিশদে জানাতে একটি নির্দেশিকা প্রকাশিত করা হয়েছে কয়েকটি কড়া পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না-নিয়ে ক্যাম্পাসের কোনও গাছ তো কাটা যাবেই না, এমনকি, কেউ ইচ্ছেমতো ডালপালাও ছাঁটতে পারবেন না । যদি কোথাও এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে ওই সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষী এবং আধিকারিকরা জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন । ক্যাম্পাসের সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মী, মালি এবং নিরাপত্তারক্ষীদের নাম ঠিকানা ও সচিত্র পরিচয়পত্র আরও একবার চেয়ে পাঠানো হয়েছে । ক্যাম্পাস থেকে যে যা জিনিস নিয়ে বের হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখে খাতায় লিখে ছাড়তে বলা হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীদের ।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেটালার্জি বিভাগের কাছে একটি ২০ থেকে ২২ বছরের পুরোনো মেহগনি গাছ একেবারে শিকড় থেকে কাটা অবস্থায় পাওয়া যায় । যদিও প্রথম দিকে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি । এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনে নামে ছাত্র সংগঠন এসএফআই । জুটাও বিষয়টি নিয়ে লাগাতার চাপ দিয়ে যায় । চাপের মুখে এফআইআর করে বিশ্ববিদ্যালয় । তবে অবশ্য এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি তৈরির কথা জানান উপাচার্য।