জন্মাষ্টমীর আমেজে মেতেছে মথুরা-বৃন্দাবন-সহ দেশের সর্বত্রই, আনন্দে মাতোয়ারা নবদ্বীপ-মায়াপুরও
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে দেশ জুড়ে খুশীর জোয়ারে ভাসছে ভক্তবৃন্দ। শুক্রবার সকল থেকেই তীব্র ব্যস্ততায় কাটছে হিন্দু ভক্তদের। জন্মদিনে আয়োজন করা হয়েছে প্রাণের গোপালের সব প্রিয় খাদ্যের। বরাবরই এই দিন গোপালকে ৫৬ পদের ভোগ নিবেদন করা হয়।
হিন্দুপুরাণের চপল, চতুর শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে খাবারের মেনু তালিকায় রয়েছে রকমারি পদ। মিষ্টি থেকে নোনতা কোনও কিছুই ব্যাড যায় প্রাণের গোপালের থালা থেকে। মাখন, মিছরি, ফল, নানা রকম মোওয়া, নিমকি, থেকে শুরু করে ভগবানের প্রিয় পাকা তালের বড়া, তাল ক্ষীর, তালের লুচির মতো নানাবিধ সুস্বাদু খাবারের থালা সাজিয়ে ভক্তির সঙ্গে পরিবেশনে ব্যস্ত ভক্তবৃন্দ। পৌরাণিক রীতি অনুযায়ী জন্মাষ্টমী পুজোর রীতি শুরু হয় সূর্যাস্তের পর। ভজন, পুজো ও মধ্য রাতে উপবাস ভাঙার পর পরদিন পালিত হয় নন্দ উৎসব।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে মথুরা, বৃন্দাবন, গোকুল, নবদ্বীপ, মায়াপুরের পাশাপাশি সারা ভারত, এমনকী বিদেশেও ইস্কন সম্প্রদায় জন্মাষ্টমী তিথি সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের মথুরা-বৃন্দাবন, বেঙ্গালুরুর ইস্কন মন্দির, পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ-মায়াপুর সর্বত্রই সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য পুণ্যার্থী।
পিছিয়ে নিয়ে রাজ্যও। রাজ্যজুড়ে আগামী তিন দিন ধরে জন্মাষ্টমী উৎসব পালনের উদ্যোগী হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শুক্রবার কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বের করা হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শ্যামবাজারের ভূপেন বসু অ্যাভিনিউতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয় থেকে বিকেল চারটের সময়ে শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও টালিগঞ্জ, রাজপুর, রানিয়া, বরানগরের ৪৩ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, চিংড়িহাটা, গার্ডেনরিচের পাহাড়পুর এবং পার্ক সার্কাসের লোহাপুল থেকেও বের করা হবে শোভাযাত্রা।
জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য তুলে ধরতে ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছে। ‘কৃষ্ণ সাজো’, ‘কৃষ্ণ আঁকো’ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি থাকছে ডাণ্ডিয়া নাচ প্রতিযোগিতাও। সংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে প্রায় ১৫০০ স্থানে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি ৫০০ টি শোভাযাত্রা বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।