ইসরো বিজ্ঞানীদের মতে, ল্যান্ডার বিক্রম একদিকে ঝুঁকছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের লিঙ্কটি আবার সংযোগের জন্য ল্যান্ডারটিকে অ্যান্টেনা অরবিটার বা গ্রাউন্ড স্টেশনের দিকে চালিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর তরফে সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে চাঁদে অবতরণের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও অক্ষত অবস্থাতে চাঁদে মাটিতে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। ইসরো জানিয়েছে যে অরবিটার যে ছবিটি পাঠিয়েছে তাতে ল্যান্ডার বিক্রমকে অক্ষত অবস্থাতেই দেখা গিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের সাত তারিখ রাতে চাঁদে অবতরণের সময় চন্দ্র পৃষ্ঠের থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার উপরে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে নির্ধারিত স্থান থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে বিক্রম। উল্লেখ করা যেতে পারে রবিবার ল্যান্ডার বিক্রমের থার্মাল ছবি পাঠায় অরবিটার।
ইসরো বিজ্ঞানীদের মতে, ল্যান্ডার বিক্রম একদিকে ঝুঁকছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের লিঙ্কটি আবার সংযোগের জন্য ল্যান্ডারটিকে অ্যান্টেনা অরবিটার বা গ্রাউন্ড স্টেশনের দিকে চালিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্র পৃষ্ঠে বিক্রমের অবতরণের পর অ্যান্টেনা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই ইসরোয়ের দল যোগাযোগ স্থাপনে অসুবিধা হচ্ছে। প্রচেষ্টা যদি সফল হয় তবে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পরে সে আবার পায়ে দাঁড়াতে পারে।
বিক্রেমে কমান্ড সিস্টেমটি ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গে সে আবারও তাঁর পায়ে দাঁড়াতে পারে। এ জন্য ইসরোর টিম ধারাবাহিক ভাবে ইসরো টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্কে কাজ করছে। চন্দ্রায়ণ -২ এর বিক্রম ল্যান্ডারের যে প্রযুক্তি রয়েছে তাতে পড়ে যাওয়ার পরেও নিজে থেকে দাঁড়াতে পারে তবে তার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে যোগাযোগ করা এবং আদেশগুলি গ্রহণ করা এটির জন্য প্রয়োজনীয়। যদিও এই কাজের সাফল্যের প্রত্যাশা মাত্র এক শতাংশ। এক শতাংশ সত্য হলেও আশা রয়েছে।