আন্তর্দেশীয় মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করল মালদার ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
মালদায় উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকার মাদক ট্যাবলেট। আন্তর্দেশীয় মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করল মালদার ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ ও একজন মণিপুরের বাসিন্দা। মালদা শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকায় একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা । ধৃতদের মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তাদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিন মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ধৃত ছ’জনের মধ্যে দু’জন কলকাতার। তাঁদের নাম সাত্তার আহমেদ ও শেখ বাবলু। তাঁদের বাড়ি একবালপুরে। ধৃত মহম্মদ নুরুল মণিপুরের বাসিন্দা ও ইসমাইল শেখ বাংলাদেশি। ধৃত অপর দু’জন মালদার বাসিন্দা। তারা হল পুরনো মালদা থানা এলাকার মঙ্গলবাড়িলর বাসিন্দা বিপ্লব কর্মকার ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার কদমতলার বাসিন্দা সাইজুল শেখ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ট্যাবলেটগুলো মায়ানমার থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে মণিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ নুরুল। কলকাতায় কারও থেকে ওই ট্যাবলেট সংগ্রহ করে সাত্তার আহমেদ ও ইসমাইল শেখ। তারা ওই ট্যাবলেট নিয়ে যায় মালদায়। সেখানে ট্যাবলেটগুলো তারা দেয় বিপ্লব কর্মকার ও সাইজুল শেখকে। তাদের থেকে ওই ট্যাবলেট নিতে আসে বাংলাদেশের ইসমাইল শেখ। মালদা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ওই ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল ইসমাইলের ওপরেই। পাচারকারীদের কাছ থেকে একটি জাইলো গাড়ি ও ছ’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আন্তর্দেশীয় সূত্রে খবর পেয়েই ট্যাবলেট সমেত ওই ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইয়াবা ট্যাবলেট প্রথম ব্যবহার করা শুরু হয় সেনাদের সচেতন করার জন্য । কিন্তু পরে বিভিন্ন দেশ তা নিষিদ্ধ করে দেয়। বিভিন্ন স্টেরয়েডের মিশ্রণ লাল রঙের এই ট্যাবলেট সাধারণত ফয়েলে মোড়া থাকে। এটি নেশাড়ুরা সরাসরিও খেয়ে থাকে আবার অনেকে গুঁড়ো করে, সেই গুঁড়ো গরম করে তার ধোঁয়া পান করে। বিভিন্ন ফ্লেভারের হলেও ভ্যানিলা ফ্লেভারই আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি পাওয়া গেছে।