অবৈধ পার্কিংয়ের জেরে ৭২, ৭০, ৯০ এবং ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন
শহর কলকাতার বুকে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে অবৈধ পার্কিং| যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং নিয়ে অহরহ অভিযোগ আসছিল কলকাতা পুরসভার কাছে| এবার অবৈধ পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করতে কলকাতা পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম| শনিবার বরো ৮-এর রিভিউ মিটিংয়ের পর এই নির্দেশ দেন তিনি| ইতিমধ্যেই বরো ৮-এর অন্তর্গত দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর এবং কালীঘাট অংশের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর পার্কিংয়ের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন |
অবৈধ পার্কিংয়ের জেরে ৭২, ৭০, ৯০ এবং ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। পুল কার, অ্যাপ ক্যাব, ট্যাক্সিগুলি যেখানে সেখানে এমনভাবে পার্কিং করা থাকে যার ফলে জঞ্জাল অপসারণের শ্রমিকরা রাস্তার সেই অংশ পরিষ্কার করতে পারে না| এই ওয়ার্ডগুলির মধ্যে পার্কিংয়ের ঠেলায় নাজেহাল অবস্থা হয়েছে সদানন্দ রোড, রাজশেখর বসু সরণি, চক্রবেড়িয়া রোড, হরিশ মুখার্জি রোড, কালীঘাট রোড, শ্যামানন্দ রোড এবং চক্রবেড়িয়া দক্ষিনের বাসিন্দাদের। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের তরফের অভিযোগ, কিছু বাড়ির মালিকরা তাদের বাড়ির রাস্তার সামনে এমনভাবে গাড়ি রাখে যার ফলে পথচলতি মানুষের রাস্তায় চলতে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়|
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, “মেয়র রক্ষণাবেক্ষণের কাজে প্রভাব ফেলবে এমন কোনও যানবাহন যাতে পার্কিং করা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বরোর কার্যনির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি ট্র্যাফিকের ডেপুটি কমিশনারকে জানাতে | তাছাড়াও সকালে কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘন্টা জঞ্জাল অপসারণের কাজের জন্য বাড়ির মালিকদের গাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি|