মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে মশার আঁতুড়ঘর, পরিদর্শনে মেয়র

< 1 - মিনিট |

ফোনে অমিয় কুমার চক্রবর্তী জানান, ডেঙ্গুর কারণেই গতবছর ডিসেম্বর মাসে তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে| বুধবারে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী আজ ঘটনাস্থলে স্বয়ং মেয়রকে দেখতে পেয়ে খুশি এলাকাবাসী

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

২০২ বাই এ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িটি থেকে গতকালই ফোন এসেছিল ‘টক টু মেয়র’-এ| অভিযোগ ছিল, বাড়ির পেছনে একটি খালি জমিতে জঞ্জাল জমে মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে| অভিযোগ শুনে সঙ্গে সঙ্গে জঞ্জাল বিভাগকে কড়া নির্দেশের পাশাপাশি মেয়র জানান তিনি নিজে যাবেন ওই এলাকা পরিদর্শন করতে|সেই মতই বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম|

এদিন গিয়ে মেয়র দেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত বাড়িটির পিছনে ময়লা ফেলার ভ্যাট। তিন দিকে আরও তিনটে বাড়ি। এমন জায়গায় ময়লা ফেলা হয়, সেখানে প্রবেশের পথ নেই। অগত্যা ময়লা জমতে থাকে দিনের পর দিন। স্বাভাবিকভাবেই ওই ভ্যাটই এখন মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। চারটে বাড়ির মাঝখানে জমি আর কর্পোরেশন লেবার কোয়ার্টারও রয়েছে। এদিন সকাল থেকেই তাঁর সামনেই জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়।

ওই পাড়ায় ডেঙ্গু গত বছরও প্রবল আকার ধারণ করেছিল| গতকাল ফোনে অমিয় কুমার চক্রবর্তী জানান, ডেঙ্গুর কারণেই গতবছর ডিসেম্বর মাসে তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে| তারপরও এলাকার পরিস্থিতি বদলায়নি|এর পরেই তিনি গতকাল ফোন করেন ‘টক টু মেয়র’-এ| তাঁর সব অভিযোগ শুনে মেয়র জানান, এই পরিস্থিতির জন্য তিনি দুঃখিত| পাশাপাশি জঞ্জাল বিভাগ যেন ততক্ষনাত ওই এলাকা পরিষ্কার করে তার নির্দেশও দেন|

বুধবারে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী আজ ঘটনাস্থলে স্বয়ং মেয়রকে দেখতে পেয়ে খুশি এলাকাবাসী| অমিয়বাবু জানান, “আমরা খুশি, মেয়র নিজে এসে বিষয়টি দেখে গেছেন। আশা রাখছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news