কলকাতায় নতুন করে গভীর নলকূপ নয়, জানালো কলকাতা পুরসভা

2 - মিনিট |

গভীর নলকূপ থেকে জল তোলা নিয়ে শুরু হবে সমীক্ষা

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

জল অপচয় রোধ করা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু হয়েছে কলকাতায়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এবার জলের অপচয় কমাতে শহরে আর কোথাও গভীর নলকূপ বসানো যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পাশপাশি কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জনানো হয়েছে, এরমধ্যেই শহরে কত গভীর নলকূপ আছে এবং তা থেকে কতটা জল প্রতিদিন তোলা হচ্ছে সেই নিয়ে সমীক্ষা করবে তারা। সেই সঙ্গে আবাসনগুলিতে কি পরিমান গভীর নলকূপ আছে তার তালিকাও তৈরি করবে পুরসভা। এর পাশাপাশি জল অপচয় বন্ধের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচার করবে তারা।

পুরসভার মাসিক অধিবেশনে পুরপ্রতিনিধি দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতায় জলের বৈষম্য ভীষণ ভাবে চোখে পরার মত| যেখানে মাথা পিছু ১৫০ লিটার জল পাওয়ার কথা সেখানে উত্তর কলকাতার বাসিন্দারা ৮০০ লিটারের বেশি জল পাচ্ছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতাবাসীরা ১৫০ লিটারেরও কম জল পাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, শহরের বহু জায়গায় গভীর নলকূপ আছে, যেগুলির কোনও হিসেব নেই। এমন চলতে থাকলে কলকাতা চেন্নাই হতে বেশি সময় নেবে না বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘জল নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আগে নিকাশী ব্যবস্থা না দেখেই বিল্ডিংয়ের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু এখন আর তা করা হবে না।’ পাশাপাশি তিনি জানান, ‘জল নিয়ে মিটারিং পদ্ধতি চালু করেছে পুরসভা। এতে বোঝা যাবে কোন এলাকায় কত পরিমাণ জল তোলা হচ্ছে।  পুজোর আগেই প্রোজেক্টর নিয়ে গিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতা বাড়ানো হবে। কিভাবে জল উৎপাদন হচ্ছে, তার জন্য কতটা খরচ হচ্ছে, সবকিছুই প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হবে।’

বামফ্রন্টের কাউন্সিলর রত্না রায় মজুমদার জলের লাইনে স্টপকর্ক লাগানোর প্রস্তাব রাখেন। তাঁর এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে মেয়র জানান, স্টপকর্ক লাগানোর ব্যপারে উদ্যোগী হতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। পাশপাশি তিনি জানান, সারা শহরে ৩৬৯টি গভীর নলকূপ আছে সেগুলির বিষয়েও সমীক্ষা করা হবে। এছাড়াও শহরের বস্তিগুলোতে এবার ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার বস্তিগুলোতে সারাদিনে কোথাও দু’বার কোথাও তিনবার জল সরবরাহ করা হয়। মেয়র পরিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, ‘অবস্থানগত সুবিধা যেখানেই হবে সেখানেই ২৪ ঘণ্টা জল দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news