কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেফাঁস মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাও শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা| প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ট্রাম্পের বিবৃতিকে পাথেয় করে সরগরম হয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ লোকসভা |
পাক প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই রওনা দিয়েছেন মার্কিন সফরে।তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া, আইএসআই প্রধান ফৈয়জ হামিদ ও বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। সেখানেই ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত ইমরান এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠকে চলা কালীন ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে ইচ্ছুক। এছাড়াও তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাকি সপ্তাহ দু’য়েক আগেই কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধও করেছেন। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি কাশ্মীরের সুন্দর প্রাকৃতিকশোভার বর্ণনা অনেকবারই শুনেছি। কিন্তু ভারত পাক দ্বন্দ্বের কারণে অহর্নিশি বোমা গুলির বর্ষণে বিঘ্নিত হচ্ছে মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক শোভা। তাই এই সমস্যা ইতি টানতে পারলে তিনি উপকৃত হবেন। এ কথা শুনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, এটা হলে ১০০ কোটি মানুষের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে থাকবে|
যদিও, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক| বিদেশমন্ত্রকের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন কোনও অনুরোধই করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে | কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হলে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই হবে |
বিরোধীদের হইহট্টোগোলের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘রাজ্যসভার প্রতিটি সদস্যকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এমন ধরনের কোনও অনুরোধই করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী|’ বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হলে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই হবে|….ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্ত ট্রাম্প সমাধানের জন্য শিমলা চুক্তি এবং লাহোর ঘোষণাপত্রই মূল ভিত্তি|’ ট্রাম্পের বিবৃতির প্রেক্ষিতে বিরোধীদের তুমুল হইহট্টোগোলের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু| নাইডু বলেছেন, ‘দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা ও জাতীয় স্বার্থ জড়িত| আমাদের প্রত্যেককে এক সুরেই কথা বলা উচিত|’ এরপর দুপুর বারোটা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন| রাজ্যসভা ছাড়াও এদিন লোকসভাতেও হইহট্টোগোল করেন বিরোধী সাংসদরা |
এদিকে, কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেফাঁস মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাও শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা| প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন|