আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে শারদসম্মান অনুষ্ঠানে রাম মাধব একথা জানান
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদের নাগরিকত্ব এ দেশের কারোর অধিকার খর্ব করে নয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এভাবেই ত্রিপুরাবাসীকে অভয় দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।
শুক্রবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে শারদসম্মান অনুষ্ঠানে রাম মাধব রাজ্য তথা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদান করেত গিয়ে এ রাজ্যের জনজাতি ও স্থায়ী নাগরিকদের অধিকার খর্ব করা হবে না৷ তাঁর কথায়, নাগরকিত্ব সংশোধনী বিল খুবই গুরত্বপূর্ণ৷ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ ও পার্সি নাগরিকদের এ দেশে নাগরিকত্ব প্রদানে সংশোধনী বিল সংসদে পেশ হতে চলেছে ৷
তিনি বলেন, এ দেশে তাঁদের আতিথেয়তা ভারতের কর্তব্য৷ দু-হাজার বছরের ওই ঐতিহ্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে বজায় রাখা হবে৷ রাম মাধবের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ভারতের জনতত্ত্বে কোনও প্রভাব ফেলবে না৷ তাঁর আরও দাবি, ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক সৌভ্রাতৃত্বেও ওই বিল কোনও প্রভাব ফেলবে না৷ প্রত্যেকটি বিষয়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিতের মাধ্যমেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হচ্ছে৷
এদিন তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার বিষয়টিও মাথায় রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাঁর কথায়, ১৯৭১-এ সমসাময়িককালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রচুর মানুষ এই রাজ্যে এসেছেন৷ তাঁর দাবি, তাঁদের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করার জন্যই বিলটি আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ একই সাথে জনজাতিদের অধিকারও সুরক্ষিত রাখার জন্য ভেবেছে কেন্দ্র৷ তিনি আশ্বস্ত করেন, এই রাজ্যের জনজাতিদের অধিকারে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না৷ কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল৷ তাঁর সাফ কথা, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শরণার্থীদের এ দেশে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে, কিন্তু দেশের আদি নাগরিকদের ক্ষতিগ্রস্তের বিনিময়ে নয়৷