কাশ্মীর ইস্যু ও বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জেরেই আপাতত ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ধর্মঘট স্থগিত করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ৷ আগামীকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার জাতীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল আইএমএ ৷ আইএমএর সভাপতি তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন বুধবার জানান, কাশ্মীর পরিস্থিতি ও বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জেরেই আপাতত ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল ২০১৯-এর প্রতিবাদে গোটা দেশে ধর্মঘটের ডাক দেয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ৷ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে সব ওপিডি বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছিল আইএমএ ৷
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল ৷ আইএমএর বক্তব্য, এই বিলের জেরে ডাক্তারদের আর কোনও কিছুর অধিকারই থাকবে না ৷ দেশে ডাক্তারি শিক্ষা এবং পরিষেবার মান নিয়ন্ত্রণ এতদিন মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া করত । এই বিল এমসিআইকে ইতিহাসে পরিণত করতে চলেছে । জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে মেডিক্যাল শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে নিয়ামক সংস্থা মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া তুলে দেওয়া হবে । তার জায়গায় গঠিত হয়েছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন ।
এই বিল আইনে পরিণত হলে, কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও পরামর্শ নিতে বাধ্য থাকবে এই জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন । নরেন্দ্র মোদি সরকারের বক্তব্য, চিকিৎসায় দুর্নীতি মুক্ত করতেই এই বিল ৷ যদিও বিরোধীদের দাবি, চিকিত্সা ক্ষেত্রের রাশ নিজেদের হাতে রাখতেই এই বিল এনেছে মোদি সরকার । এমসিআই ছিল মূলত চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত, তাই স্বজনপোষণের অভিযোগ । নতুন কমিশনে যথেষ্ট সংখ্যায় অচিকিৎসক সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে এবং তাঁদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি আইএমএর ৷ এই বিলে চিকিৎসকদের স্বার্থ দেখা হবে না, রোগীর স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ।